জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে যারা লড়ছেন

হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জনসহ ৬৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ১৭ জন।

সোমবার ও মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলামের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম, বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মিজানুর রহমান মিজান, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট এনামুল হক সেলিম, বিএনপির বিদ্রোহীর প্রার্থী মো. ইসলাম তরফদার তনু, স্বতন্ত্র প্রার্থী বশিরুল আলম কাউছার, মো. সামছুল হুদা এবং গাজী মোহাম্মদ পারভেজ হাসান।

শেষ ধাপে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপ্রত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার প্রার্থীরা বড় ধরনের শো-ডাউন করে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলামের নিকট নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ ৭ জন মেয়র প্রার্থী, পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন ও মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মেয়র পদের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হচ্ছেন-আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান সেলিম, বিএনপির মো. এনামুল হক সেলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. শামছছুল হুদা, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মো. মিজানুর রহমান, বিএনপির বিদ্রোহী মো. ইসলাম তরফদার, স্বতন্ত্র মো. বশিরুল আলম কাওছার ও গাজী মো. পারভেজ হাছান।

৯টি ওয়ার্ডে মোট ৪১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্ণিং অফিসারের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন।

১নং ওয়ার্ডে ৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হচ্ছেন-মোঃ লুৎফুর রহমান (দুদু), মোঃ আবুল কাশেম, মোঃ কুতুব উদ্দিন, মোঃ আবুল হাসিম, ইকবাল হোসেন, বুলবুল আহমেদ রুমী, মোঃ ফরহাদ হোসেন টিটু।

২নং ওয়ার্ডে ৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন মোঃ সিরাজুল ইসলাম (জীবন), মোঃ জাহির উদ্দিন, সোহেল আহমেদ।

৩নং ওয়ার্ডে ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন মোঃ আব্দুল আহাদ, দীলিপ দাস, শান্তনু দাস, সত্যজিৎ দাস, পান্না কুমার শীল।

৪নং ওয়ার্ডে ২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন মোহাম্মদ জুনায়েদ মিয়া, সুমন দাস।

৫নং ওয়ার্ডে ৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন মোঃ শামছুর রহমান, কৌশিক আচার্য্য, গৌতম কুমার রায়।

৬নং ওয়ার্ডে ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন টিপু আহমেদ, শাহ মোঃ জালাল উদ্দিন, নূরুল আমিন, শেখ নূর হোসেন, মোঃ এনামুল হক, মোঃ আমজাদ হুসাইন মনি।

৭নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৩ জন প্রার্থী। তারা হচ্ছেন মোঃ হারুন অল রশীদ, শাহ সালাউদ্দিন আহাম্মদ, মোঃ আব্দুল আউয়াল মজনু।

৮নং ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন আলাউদ্দিন কদ্দুছ, আশরাফ আহমেদ হারুন, মোঃ আতাউর রহমান লিটন, মোঃ আলমগীর।

৯নং ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৮ জন প্রার্থী। তারা হচ্ছেন মোহাম্মদ আব্দুল শহীদ, মোঃ সফিকুর রহমান সিতু, মোহাম্মদ মাহবুবুল হক (হেলাল), মোঃ মাহবুবুর রহমান, আব্দুল হক, আব্দুল জলিল, শেখ মোঃ উম্মেদ আলী শামীম, মোঃ শফিকুল ইসলাম।

মহিলা কাউন্সিলর পদে সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন প্রার্থী।

আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম নৌকা প্রতীক পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি আশাকরি হবিগঞ্জ পৌরসভার মানুষের মন জয় করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা জয়ী করতে পারবো। পাশাপাশি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবিগঞ্জ পৌরসভার মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে তাকে জয়ী করবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন মনোনিত প্রার্থী মো. সামছুল হুদা বলেন, যদি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে আমি অবশ্যই ইনশাআল্লাহ জয়ী হবো। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, পূর্বের সবগুলো নির্বাচনই অবাধ সুষ্ঠু হয়েছে। এ নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। প্রার্থীরাও আচরণবিধি মেনে চলবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম জানান, পঞ্চম ধাপে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৪টি কেন্দ্রের ১৬৩টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ পৌরসভায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৪ ফেব্রুয়ারি, প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ ১২ ফেব্রুয়ারি। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫০ হাজার ৯০৩ জন।