সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির সবার আগে নিজের শরীরে টিকা নিয়ে হবিগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে এমপি আবু জাহিররে শরীরে টিকা প্রয়োগ করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এর আগে তিনি টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন। এমপি আবু জাহির তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন সুস্থ। আপতত আমার শরীরে টিকা না নিলেও হত। তারপরও জেলাবাসীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সবার আগে টিকা নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ভাল মান-সম্মত টিকার ব্যবস্থা করেছেন। এখানে ভয়ের কিছু নেই। সকলেই করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন, নিজে সুস্থ থাকুন, পরিবারকেও সুস্থ রাখুন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, হবিগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারী আতাউর রহমান সেলিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমান উজ্জ্বল।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ এপ্রিল হবিগঞ্জে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়। সংক্রমনের এ দীর্ঘ দশ মাস ধরে এমপি আবু জাহির সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সরকারি ও সামর্থ অনুযায়ী ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। করোনার ভয়াবহ সংক্রমনের সময়ও তিনি ঘরে থাকেননি। সকাল-সন্ধ্যা ছুটেছেন মানুষকে সচেতন করতে। এসব কাজ করতে গিয়ে তিনিও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
আজ হবিগঞ্জে মোট ৩৪২ জন কোভিড-১৯ এর টিকা নিয়েছেন। তন্মধ্যে আজমিরীগঞ্জ ২৫ জন, বাহুবল ৩৯ জন, বানিয়াচং ৮ জন,চুনারুঘাট ৪০ জন,সদর ১০২ জন,লাখাই ৪০ জন, মাধবপুর ৪০ জন ও নবীগঞ্জে ৪৮ জন টিকা নিয়েছেন।
এ ধাপে হবিগঞ্জ জেলার ৩৬ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসের টিকা পাবেন। টিকা প্রয়োগের জন্য সাতটি উপজেলায় দুইটি করে দল গঠন করা হয়েছে। প্রতি দলে ৪ জন নার্স ও ৮ জন করে স্বেচ্ছাসেবক। তবে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ৮টি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুইটি দল কাজ করছে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে।