টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপের একপক্ষক অপরপক্ষকে পাল্টাপাল্টি বহিস্কার করেছে৷
চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপ প্রতিষ্ঠাতা লগ্ন থেকেই সাধারন মানুষের নজর খাড়া কিছু ভাল কাজ করে আসছিল। কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নিজ স্বার্থ হাসিল এবং ক্যালেঙ্কারি।
গতকয়েক দিন পূর্বে চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপের সধারন সম্পাদক নুরুল কালাম আযাদ দরবেশ কাতার থেকে ছুটিতে দেশে আসেন। এবং সকলের মতামতানুযায়ী শীতবস্ত্র বিতরন এবং আরো অন্যান্য ইভেন্টের প্রবাসী সদস্যদের থেকে টাকা কালেকশন করেন।
একদিকে সংগঠনের সভাপতি মীর নিজাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, নুরুল কালাম আযাদ দরবেশ নিম্ন মানের কম্বল ক্রয় করে সংগঠনকে বেশী টাকার হিসাব দেখায়। অনুষ্ঠানে সবাইকে দাওয়াত না দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করে।
এমনকি নুরুল কালাম আযাদ দরবেশের নামে ১,২৮,৭৬২ টাকা চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপের ফান্ড থেকে আত্মসাদের অভিযোগ করেছেন মীর নিজাম।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক নুরুল কালাম আযাদ দরবেশ অপর আরেকটি প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপের সভাপতি মীর নিজাম উদ্দিন হৃদয় সংগঠনের ফান্ডের হিসাবসহ যাবতীয় নতিপত্র নিজের কাছে গোপন রাখে। তার চাচা মীর মকসুদ আলীর নেতৃত্বে চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপকে বানচাল করে।
মীর নিজাম উদ্দিন হৃদয়ের কারণে পরপর দুই ধাপে সংগঠন থেকে প্রথম সারির কয়েকজন প্রতিষ্ঠাতা, দাতা সদস্য ও সাধারন সদস্য সেচ্ছায় অব্যাহতি নেন।
বর্তমান চুনারুঘাট প্রবাসী সামাজিক সংগঠন এবং চুনারুঘাট প্রবাসী উন্নয়ন পরিষদ নামে দুইটি সেচ্চাসেবী সংগঠনের সকল প্রতিষ্ঠাতাগণই ছিলেন চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপের মূল প্রতিষ্ঠাতা।
এখন মীর নিজাম উদ্দীন হৃদয় চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপকে “গ্রুপ” নাম বাদ দিয়ে ফাউন্ডেশন নাম দিয়েছে এবং কমিটিও দিয়েছে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে।
কিছুদিন আগে নতুন কমিটি হলেও কমিটির সদস্যদের কার্যক্রম হস্তক্ষেপ করে মীর নিজাম। নতুন অর্থ সম্পাদক মোঃ ফরিদ জমাদারকে ফান্ডের হিসাব বুঝিয়ে দেয়নি মীর নিজাম। প্রবাসী গ্রুপ থেকে ফাউন্ডেশন নাম দিয়ে মীর নিজাম তার একক আধিপত্য বিস্তার লাভ করতে চায়।
আর এসব অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের কারনেই এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে বহিস্কার করে চলেছে৷