হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে ৩২তম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম।
আজ রোববার পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৩,৪৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী (বহিস্কৃত) প্রার্থী বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজান নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১০,৭৯০ ভোট। বিএনপির মনোনিত ধানের শীষের প্রার্থী এনামূল হক সেলিম পেয়েছেন ৩,২৪২ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (পীর সাহেব চরমোনাই) মনোনীত হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যক্স) সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শামছুল হুদা হাতপাখা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭৯ ভোট , স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ বশিরুল আলম কাওছার মোবাইল ফোন ১৮১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট’র আইনজীবি গাজী পারভেজ হাসান জগ প্রতিকে পেয়েছেন ১৬৫ ভোট।
হবিগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলররা হলেন -১নং ওয়ার্ডে আবুল হাসিম, ২নং ওয়ার্ডে জাহির উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডে পান্না শীল, ৪নং ওয়ার্ডে জুনায়েদ আহমেদ,৫নং ওয়ার্ডে গৌতুম কুমার রায়, ৬ নং ওয়ার্ডে টিপু আহমেদ, ৭ নং ওয়ার্ডে সালাউদ্দিন টিটু, ৯ নং ওয়ার্ডে সফিকুর রহমান সেতু।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম জানান, রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে একটানা ভোটগ্রহন করা হয়।
নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন ১শত ২০ সদস্যের ৬ প্লাটুন ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি), র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-এর ৪টি টিমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য। এছাড়াও দায়িত্বে পালনে ছিলেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, পৌর এলাকার ২৪টি ভোট কেন্দ্রে ৬শ ৬০ জন পুুলিশ সদস্য সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে ছিল বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র মহিলাসহ ৯ জন সদস্য।
প্রসঙ্গত, ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ৯ দশমিক ০৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভায় বসবাস করেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। নির্বাচন কমিশনের দেয়া সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী হবিগঞ্জ পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ৫০ হাজার ৯শ ৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ২৫ হাজার ৬শ ২০।