মাধবপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের কৃষক বাহাদুর হত্যা মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। তবে এ প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও আসামি পক্ষের দ্বারা বর্শীভর্তী হয়ে তাকে না জানিয়ে মনগড়া মতে তৈরি করা হয়েছে বলছেন বাদি আইনজীবি সহকারি জামাল হোসেন। এ বিষয়ে তিনি পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, রাজাপুর গ্রামের মুসলিম মিয়ার পুত্র আইনজীবী সহকারি জামালের ছোট ভাই বাহাদুরকে একই গ্রামের দুলা মিয়ার পুত্র জিলু মিয়া তার ভাই মিলন মিয়া, বাছির মিয়া, হেফজু মিয়া, নাজমুল মিয়া, আব্দুল হক, দুলা মিয়া ও আব্দুর রউফসহ ৮ জন হত্যা করে।
এ ঘটনায় জামাল মিয়া বাদি হয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে মামলা করেন। যার নং-জিআর ৭২/২০। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইরগণ্যে রুজু করার জন্য মাধবপুর থানায় প্রেরণ করেন।
পরবর্তীতে মামলাটি পিবিআইতে তদন্তের জন্য যায়। তদন্তকারী আমিনুল হক দীর্ঘ ১ বছর পার হলেও পিবিআইর তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি গ্রেফতার না করে আদালতে আসামিগণের পক্ষে প্রতিবেদন দেন বলে বাদি অভিযোগ করেন।
জামালের আইনজীবি জানান এরকম একটি হত্যা মামলায় যদি ফাইনাল দেয়া হয় তাহলে মানুষ ন্যায় বিচার কোথায় পাবে? তিনি এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দিবেন বলে জানান।
এদিকে আমিনুল ইসলাম জানান, আইনজীবি সহকারী ও উক্ত মামলার বাদি জামাল মামলাটি তার কাছে যাবার পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও স্বাক্ষি প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালতে রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।