বানিয়াচং উপজেলার ভাই ও ভাইপো হাতে বোন খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এজাহারে অভিযুক্তদের নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রকৃত আসামি ছাড়াও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিরীহ লোকদের ফাঁসানো হয়েছে। যাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে তারা বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ায় বাড়িঘরে মালপত্র লুটপাট ও ভাংচুর হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার রতনপুর গ্রামের নিহত সামছুন্নাহার (৫০) এর পুত্র আলী নুর বাদি হয়ে একই গ্রামের মৃত হোসন মিয়ার পুত্র নিহতের আপন ভাই হাদিস মিয়া, ভাইপো সুবেল মিয়াসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিহত সামছুন্নাহারের সাথে হাদিস মিয়ার বাড়ির সীম-সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে গত ২ এপ্রিল দুপুরে হাদিস মিয়া ও তার ছেলে সুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং সামছুন্নাহারকে টেটা দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন আহত সামছুন্নাহারকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ এবং পরে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত ৪ এপ্রিল রবিবার রাতে সামছুন্নাহার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু সিদ্দিকের পুত্র বাচ্চু মিয়া ও নিহতের ছেলে আলী নুর ও কাইয়ূমকে আটক করে সুজাতপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আলী নুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, কাইয়ুম ও বাচ্চু মিয়া ঘটনার সাথে জড়িত নয়। এ কারণে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
কিন্তু গ্রামের কিছু কুচক্রি মহলের ইন্ধনে আলী নুর বাচ্চু মিয়া, তার পুত্র ও স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করায় গ্রামবাসীর মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন আলী নুর বর্শীভূত হয়ে বাচ্চু মিয়া ও তার পুত্র এবং স্ত্রীকে আসামি করেছে। এ ব্যাপারে সুজাতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শাহরিয়ার জানান, ঘটনার দিন রাতে বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলী নুর, বাচ্চু ও কাইয়ূমকে আনা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় এবং আলী নুরের জবানবন্দি মতে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
বানিয়াচং থানার ওসি এমরান হোসেন জানান, হাদিস মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আলী নুর বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।