প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী আষাঢ় মাসে ভাশা পানি থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে জল বায়ু পরিবর্তনের কারণে বিলম্বিত বর্ষা। ফাঁদে পড়েছে মৎস্য ও শস্য ভান্ডার খ্যাত জলমহালে ভরপুর খ্যাত হাওর বেষ্টিত লাখাইর জনপদ।
নিয়ম অনুযায়ী জৈষ্ঠ্যমাসে হাওরের জলরাশিতে টেউয়ের কলকলাতীতে যে খেলা চোখে পরতো গত কয়েক বছরে এবার সে দৃশ্য চোখে পড়েছে না।
কৃষি ভান্ডার খ্যাত এ উপজেলায় হাওর বেষ্ঠিত এলাকায় বর্ষার পানি না আসায় এখন পর্যন্ত গবাদি পশু মাঠে বিচরণ করছে। যার ফলে মৎস্য ভান্ডার খ্যাত লাখাইর হাটে বাজারে এখন মিলছে না পর্যাপ্ত পরিমান দেশীয় প্রজাতান্ত্রিক মাছ।
এদিকে বর্ষার পানি হাওরে না থাকার ফলে আমন, রোপা আমন, আউশ ধানের ফলন হুমকী সম্মুখীন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রারন অফিস সুত্রে জানা যায়, এ বছরের ভুনা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৫ শত হেক্টর।
বর্ষাও বৃষ্টির পানি না থাকায় কারনে ফলনের লক্ষ্য মাত্রা পুরন হবে না বলে আশংকা করছে কৃষকেরা।
এব্যাপারে কৃষি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্র্যাচার্য্য জানান, বর্ষার পানি বর্তমানে যেভাবে থাকার কথা তা হয় নাই। তবে উপজেলার কৃষি খাতের তেমন সমস্যা হবে না। বর্ষার পানি না আসে তা হলে ফলনের কিছুটা বিঘ্ন ঘটবে।
মৎস্য শস্য ভান্ডার খ্যাত এ উপজলোয় বর্তমানে বর্ষার পানিতে থৈ থৈ করার কথা। কিন্তুুু পানি না থাকার কারনে বিস্তীর্ন হাওরে জলাশয় গুলো তে জেলে বা মাছ শিকারীদের মাছ ধরার মতো পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা।
এখন লাখাইর হাটে বাজারে পুকুরের মাছ চোখে পরার মতো। লক্ষ্যনীয় হাইব্রিড জাতীয় মাছ গুলোর মাঝে কাতল, পাঙ্গাস, রুই, মৃগেল, তেলাপিয়া ইত্যাদি। তবে দেশীয় মাছের সংখ্যা খুব কম।
এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য সহকারী কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জানান, সঠিক সময়ে পানি না আসলে দেশীয় মাছ কিপিং করতে পারবেনা। ফলে মাছের প্রজননের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার আশংক্ষা রয়েছে।