কনৌজ ব্যানার্জিঃ আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার কালনী, ভেড়ামোহনা ও বশিরা নদীতে অবাধে চলছে ঝাটকা ইলিশ ও বিভিন্ন রকমের দেশীয় প্রজাতির পোনা মাছ নিধন। সারাদেশে লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণীর অসাধু জেলেরা নদীতে বিভিন্ন রকমের অবৈধ জাল দিয়ে নিধন করছে ঝাটকা ইলিশ ও বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ।
আজ বিকালে উপজেলার বিভিন্ন স্হানে ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন মৎস্য বিক্রেতা ঝাটকা ও ছোট প্রজাতির দেশীয় মাছের পোনা হেঁটে হেঁটে বিক্রি করছেন। একই সময় ওই বিক্রেতাদের সহিত আলাপকালে তারা জানায়, কুশিয়ারার কালনী, ভেড়ামোহনা ও বশিরা নদী থেকে এই মাছ শিকার করছেন তারা। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন এলাকার সচেতন জনগণ।
জানা যায়, প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর থেকে শুরু করে কাকাইলছেও ইউনিয়নের ভাটি এলাকা পর্যন্ত কুশিয়ারার কালনী, ভেড়ামোহনা, বশিরা নদীতে দিনে কিংবা রাতে নিষিদ্ধ ভীম, কারেন্ট, খুনা ও চায়না জাল দিয়ে চলছে ঝাটকা সহ দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ নিধন।
সরজমিনে, আজমিরীগঞ্জ পৌরসদরের টানবাজার, চরবাজার সহ ইউনিয়ন সমূহের বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অভিনব কায়দায় চলে এসব অবৈধ জাল বেচাকেনা। প্রশাসনের অভিযান থেকে বাঁচতে দোকানের পরিবর্তে নিষিদ্ধ জাল রাখা হয় বিভিন্ন গোপনীয় জায়গায়।
বর্তমান সময়ে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন নিশ্চিতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে এক শ্রেনীর অসাধু নিষিদ্ধ জাল বিক্রেতা। তাই অচিরেই কারেন্ট সহ বিভিন্ন ধরণের নিষিদ্ধ জাল বিক্রি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে সচেতন এলাকাবাসী। এ ছাড়া অভিযান চালিয়ে ঝাটকা ইলিশ সহ দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ নিধন বন্ধ করা না হলে অচিরেই দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির আশংকাও করছেন এলাকার সচেতন লোকরা।
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান হবিগঞ্জ নিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করার দরুন আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারছি না। তবে অতি শীঘ্রই আমরা অভিযান পরিচালনা করব।