হবিগঞ্জ বাহুবল উপজেলায় পুকুরের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক প্রবাসীর অস্ত্রের আঘাতে শাহ ফয়সল আহমেদ নামে আরেক প্রবাসী খুন হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মীরেরপাড়া গ্রামে।
জানা যায়,বাহুবল উপজেলার ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নের মীরেরপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মোতাহির হোসেন(৩২) ও মোজাহিদ আহমেদ(৩৫)এর দীর্ঘদিন যাবত বাড়ির পুকুরের সীমানা একই গ্রামের শাহ মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে শাহ হামিদুর রহমান কায়সার(৪৭) ও ফয়সল আহমেদ(৩৫) বিরুধ চলে আসছিল।এ নিয়ে এলাকার বিশিষ্ট ময়মুরুব্বিরা একাধিকবার বিচার শালিসেও বসেন,তবুও তাদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় এনিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।এ বিষয় নিয়ে ১১ জুলাই(রবিবার) সকালে পুটিজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুদ্দত আলী,পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও স্থানীয় ময়মুরুব্বিদের নেতৃত্বে এক বিচার শালিসে বসেন।
শালিসের এক পর্যায়ে তাদের বিরোধটি নিষ্পত্তি করা হয়।
কিন্তু দুপুর প্রায় ২টা ৩০ মিনিটের দিকে ঐ বিরোধীয় সীমানার মধ্যে পিলার দিতে যায় শাহ ফয়সল আহমেদ,এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এতে প্রায় ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা বাহুবল হাসপাতালে গেলে নিহত ফয়সল আহমেদের বড় ভাই শাহ হামিদুর রহমান কায়সার সাংবাদিকদের জানান,বিষয়টি নিষ্পত্তির পর আমার ভাই সীমানা পিলার দিতে যায়,এসময় হঠাৎ করে খোরশেদ আলীর ছেলে মোজাহিদ আহমেদ, মোতাহির হোসেন ও তাদের বোন জামাই আক্তার হোসেন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফয়সলের উপর হামলা চালায়, এসময় তাদের দাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে ফয়সল গুরুতর আহত হয়।
এ অবস্থায় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ফয়সল আহমেদকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফয়সল গত বছর হবিগঞ্জ শহরে বিয়ে করেছে বর্তমানে তার স্ত্রী ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।এব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সাথে সাথে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেল সিনিয়র এএসপি মোঃ আবুল খয়ের এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতার করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান।