আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত্ব আজমিরীগঞ্জ ৪নং কাকাইলছেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামিলীগ নেতা, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেছেন।
তিনি শুক্রবার ও শনিবার এ গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমার পিতা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী মুক্তিযদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। আমার পিতা আজীবন এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এলাকায় কি ভাবে উন্নয়ন হবে এজন্য ফজলুর রহমান চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
সাংবাদিক নেতা চৌধুরী মোঃ ফরিয়াদ বলেন-জনপ্রতিনিধি হলে এলাকার উন্নয়ন করা সহজ। আমার মরহুম পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমি কাকাইলছেও ইউনিয়ন পাশে থেকে আজীবন কাজ করে যেতে চাই। এ জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা, দোয়া, আশির্বাদ ও ভোট কামনা করছি। পাশাপাশি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নের দাবি করছি।
গণসংযোগকালে তিনি পথসভায় বক্তব্য রাখেন। পথসভায় বক্তারা বলেন-তার পিতা মরহুম ফজলুর রহমান চৌধুরী ছিলেন ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। ১৯৭১ সালে ৯ মাস যুদ্ধ করে তিনি ৮ ই ডিসেম্বর আজমিরীগঞ্জকে পাক হানাদার মুক্ত করেন। ফজলুর রহমান চৌধুরীর নিরলস প্রচেষ্ঠায় এলাকার বহু উন্নয়নমূলক মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।
তার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হল সৌলরী এসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা,কাকাইলছেও টু শিবপাশা (ঘরদাইর ভায়া) পাকা রাস্তা করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম হুমকির সম্মুখীন হলে তিনি দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় চালিয়ে নদী ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন।
তিনি মৃত্যুও আগ পর্যন্ত এলাকার মানুষের সুঃখ দুঃখের চিন্তা করে গেছেন। ফজলুর রহমান চৌধুরী তার কর্মের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন।
বক্তারা আরো বলেন-ফজলুর রহমান চৌধুরী কাকাইলছেও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৫১৮ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু সেই বিজয় দুঃস্কৃতিকারীরা ছিনিয়ে নিয়েছিলো। এবার আর সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। তার সন্তান চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদকে নির্বাচিত করবে।
পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মর্তুজ আলী, নগরজাকান্দা গ্রামের সাবেক মেম্বার মোঃ হযরত আলী, কালনিপাড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার মোঃ উসমান মিয়া ও ঘরদাইর গ্রামের সাবেক মেম্বার মোঃ আব্দুস শহীদ মিয়া,সৌলরী গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল হেলিম (মিলন মিয়া) প্রমূখ।