জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

৫ম শ্রেণির ছাত্রের সাথে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে

আকিকুর রহমান রুমনঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৫ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রের সাথে একই মাদ্রাসার ১০ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে অনুষ্টিত হয়েছে।

কিন্তু জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী বিয়ের বয়স না হওয়ার কারনে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে না পড়িয়ে স্থানীয় এক মাওলানার মাধ্যমে হয়েছে আকদ বিয়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে (৩ নভেম্বর) বুধবার দুপুর ২ টায় বানিয়াচং উপজেলার ১৫নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম দূর্গাপুর বানিয়াবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামে।

বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াবাড়ি পূর্বপাড়ার সর্দার মোঃ সুন্দর আলী।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৈলারকান্দি ইউনিয়নের দূর্গাপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্র শহিদুল ইসলামের সাথে।

একই মাদ্রাসার ১০ শ্রেণীর ছাত্রী সামিয়া আক্তারের সাথে এই আকদ বিয়েটি অনুষ্ঠিত হয়।

এই ছাত্রী হলো সৌদি প্রবাসী আব্দুর রব মিয়ার কন্যা। ছাত্র হলো একই গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র।

মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে মাদ্রাসার সুপার মোঃ হারিছুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট কাজীকে তাদের অপরিনত বয়সের বিষয়টি অবগত করার কারনে কাজী মোঃ হারুনুর রশীদ এই বিয়ে পড়াতে অনীহা প্রকাশ করেন।

তবুও দমে যায় নাই বর ও কনে পক্ষের লোকজন।রীতিমত গরু জবাই করে বিয়ের গেট সাজিয়ে ও অন্যান্য অনুষ্টানাদির মাধ্যমে বরপক্ষকে স্বাগত জানান এবং কাবিন ছাড়াই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।

এ ব্যাপারে কাজী মোঃ হারুনুর রশীদের সাথে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান, এরকম কোন বিয়ে বুধবারে রেজিষ্ট্রি করাননি।তিনি ওই দিন হবিগঞ্জ জেলা শহরে ছিলেন বলেও জানান।

এ ব্যাপারে গ্রামের সর্দার মোঃ সুন্দর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কনের বাড়িতে অনুষ্টান হতে দেখেছি এবং কোন এক মাওলানার মাধ্যমে বিয়ে হয়ে থাকতে পারে বলে শুনেছি।

এব্যাপারে দূর্গাপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার সুপার মোঃ হারিছুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই ছাত্রী আমার মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
এবং ঐ বর ছেলেও তার মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলো। কিন্তু করোনা কারনে দীর্ঘ ২ বছরের মতো বন্ধের কারনে অটো পাশ হিসেবে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র।
তবে তাদের কোন বিয়ের বয়স হয় নাই।

এছাড়াও তিনি জানান, এমন সংবাদ পেয়ে তিনি কাজী সাহেবকে বিয়ে পড়াতে নিষেধ করেন এবং তাকে হবিগঞ্জ পাঠিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে ১৫ নং পৈলারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কনের বিয়ের বয়স না হওয়ার কারনে বিয়ে দিতে নিষেধ করেছি। কিন্তু আকদ বিয়ে হয়েছি কিনা এটা আমি জানিনা। তবে বিয়ের অনুষ্টানের যাবতীয় প্রস্তুতি ছিল এটা তিনি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এলাকটি অত্যধিক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বাল্য বিয়ের বিষয়টি জেনেই সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে খতিয়ে দেখতে বলেছি এবং আইন বহিভর্ভূত হলে বিয়েটি বন্ধ করার জন্য বলে দিয়েছি।