দিলোয়ার হোসাইন: বানিয়াচং উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের তফশীল ইতিমধ্যে ঘোষনা হয়েছে। তফশীল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। তফশীল ঘোষনার পরপরই প্রার্থীও তাদের কর্মী সমর্থকদের প্রচারনায় সরগরম হয়ে উঠেছে ইউপি নির্বাচনের মাঠ।
বানিয়াচং উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। এরমধ্যে ২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি হওয়ার মর্যাদাপূর্ণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন ৫ জন প্রার্থী।
৫ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামীলীগের ৪ জন। অপর ১ জন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।
ওয়ারিশ উদ্দিন খানঃ ইউনিয়নটির বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খান। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির দলীয় মনোনয়নে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে দ্বিতীয়বার জয়লাভ করেছিলেন। এর পূর্বে তিনি আরও একবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিগত নির্বাচনে তার জন্য নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছিলেন বিএনপি‘র একজন কেন্দ্রীয় নেতা ও তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান।
এই বৎসর বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন না করায় ওয়ারিশ উদ্দিন খানকে নির্বাচনী মাঠে একাই লড়াই করতে হবে। তবুও তিনি নির্বাচন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়াঃ ছয় ছয়-বারের সাবেক চেয়ারম্যান। বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সামাজিক পঞ্চায়েত ব্যাক্তিত্ব হায়দারুজ্জামান খান ধনমিয়া।
একটা সময় মনে হয়েছিলো উনাকে নির্বাচনের মাঠে পরাজিত করার মত কোন প্রার্থী ওই ইউনিয়নে নেই। কিন্তু বয়সে অনেক তরুন ও অপরিচিত বানিয়াচং উপজেলা বিএনপি‘র তখনকার সাধারন সম্পাদক ওয়ারিশ উদ্দিন খান উনাকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিগত নির্বাচনেও উনার চেয়ে বয়সে তরুন ওই প্রার্থী তাকে পরাজিত করে বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
হায়দারুজ্জামান খান ধনমিয়া বিগত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করার আশায় দলের মনোনয়ন চেয়েছেন।
পারভেজ আলম খানঃ হবিগঞ্জ জেলা তাতীলীগের সহসভাপতি বানিয়াচং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পারভেজ আলম খান। স্থানীয় তোপখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
তার পিতা সৈদরটুলা সান্দের সাবেক সর্দার প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা সালেহ উদ্দিন বুলবুল। ওই ইউনিয়নের সকল প্রার্থীর মধ্যে পারভেজ আলম খান শিক্ষাগত যোগ্যতায় সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে স্নানককোত্তর পাশ একজন প্রার্থী।
তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নির্বাচনের আশায় দলের নিকট মনোনয়ন চেয়েছেন।
আব্দুল হালিম সোহেলঃ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরুন নেতা আব্দুল হালিম সোহেল। সহজ-সরল ও ক্লিন ইমেজেরে অধিকারী এই সাবেক ছাত্রনেতা নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করার আশায় আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন।
মুত্তাকীম বিশ্বাস: ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুত্তাকীম বিশ্বাস। তিনি পূর্বে বিভিন্ন দল করলেও বর্তমানে আওয়ামীলীগের নেতা।
তিনি ইতিপূর্বে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করে হেরেছিলেন। তিনি সাবেক একজন মেম্বার। তিনিও আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে দলের নিকট মনোনয়ন চেয়েছেন।