আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কার্যক্রমের আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বহুকাল ধরে বিভিন্ন অপব্যখ্যা দিয়ে নারীদের অগ্রযাত্রাকে দামিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, নারীদেরকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
বেগম রোকেয়া সেই মহীয়ষী নারী, যিনি প্রথাগত সমাজ ব্যবস্থার সাথে যুদ্ধ করে বদ্ধ ঘর থেকে বের করে নারীদেরকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন, সমাজে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন।
আজ নারীরা অর্থনৈতিক সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সকল কাজে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমরা যদি নারীদেরকে তাদের যথাযত প্রাপ্ততা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারব।
এসময় জেলা পর্যায়ে ৫টি ক্যাটাগরীতে ৫জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্নালী পাল, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাহেবুল আলম, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট তাহমিনা বেগম গিনি, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আরা বেগম জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ইসমত আরা প্রমুখ ।
জেলা পর্যায়ে ৫টি ক্যাটাগরীতে নির্বাচিত ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী হিসেবে মোছাঃ আছমা আক্তার, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী জামিলাতুন নাহার, সফল জননী শাহ আছিয়া খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন মোছাঃ জায়েদা বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন মোছাঃ সামছুন্নাহার বেগম।