চুনারুঘাটের প্রতিটি ইউনিয়ন এখন নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম। কণকণে শীতকে উপেক্ষা করে চলছে বিরামহীন প্রচার। প্রতিটি ইউনিয়নে সরকার দলীয় নৌকার প্রার্থীদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বিশেষ করে ৫ নং শানখলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের প্রতিনিধি এডভোকেট নজরুল ইসলাম লোকমুখে ও পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা যায়। এখানে নৌকার প্রার্থী ফজলুর রহমান তরফদার সবুজকে গোদের উপর বিষপোড়া হয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। জমরুত ও সবুজ একই এলাকার বাসিন্দা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম আইন পেশার পাশাপাশি একটি বেসরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উচ্চ শিক্ষিত নজরুল এলাকায় সদালাপী ও পরোপকারী হিসেবে পরিচিত। তৃণমূল থেকে উঠে আসা সাধারণ পরিবারের সন্তান নজরুল ইসলাম সাধারণ জনগণের কাছে খুবই জনপ্রিয়। কারণ বিগত প্রায় দুই দশক ধরে তিনি বিপদে আপদে মানুষের পাশে রয়েছেন। বিশেষ করে এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে হবিগঞ্জ বা সিলেট হাসপাতালে ভর্তি হলে নজরুল ইসলাম তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বন্ধু হিসেবে। মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে আসা নজরুল ইউনিয়নবাসীর ‘বিপদের বন্ধু’।
পুরো ইউনিয়নেই রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা। তাই নজরুল মাঠ দাপাচ্ছেন কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে। লালচাঁন্দ বাগান, লালচাঁন্দ বস্তি, শানখলা ও পঞ্চাশ এলাকার একক প্রার্থী হওয়ায় জেতার পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছেন নজরুল। প্রচার ও কৌশলে স্বস্তিতে নেই অন্যান্য প্রার্থীরা।
নজরুলের ভোট রয়েছে সব সেন্টারেই। নতুন ভোটারদের একটি বড় অংশের ভোট পড়বে তরুণ প্রার্থী নজরুলের বাক্সে। বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী নজরুল বলেন, টানা ১০ বছর ধরে মাঠে আছি। সুখ দুখে মানুষের পাশে ছিলাম। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি সর্বত্র। নির্বাচিত হলে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ শানখলা উপহার দিবো।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার দীপক কুমার রায় বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেউ আর্থিক লেনদেন বা আচরণবিধি লংঘন করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।