সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার জন্য দাবি জানিয়েছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে এ বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর প্রতি তিনি এ দাবি জানান।
সাত মিনিটের ভাষণে এমপি আবু জাহির বলেন, বিএনপি সরকার জঙ্গীদের রক্ষা করার জন্য হেলিকপ্টার বরাদ্দ দিলেও গ্রেনেড হামলায় আহত শাহ এএমএস কিবরিয়ার চিকিৎসার জন্য একটি হেলিকপ্টার দেয়নি।
“সেদিনের সেই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান শাহএএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজাসহ ৫ জন নিহত হয়েছিলেন।”
শতাধিক গ্রেনেডের স্প্রীন্টার শরীরে নিয়ে ব্যথা অনুভব করি। – আবু জাহির
“আমিসহ আনেক আওয়ামী লীগ নেতা আহত হয়েছিলাম। এখনও শতাধিক গ্রেনেডের স্প্রীন্টার শরীরে নিয়ে ব্যথা অনুভব করি। সেদিনটি ছিল বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্কজনক দিন।”
তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে হবিগঞ্জবাসী তথা দেশবাসী এই হত্যাকান্ডের বিচার দেখার জন্য উদগ্রীব। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারটি শেষ করতে প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর প্রতি দাবি উত্থাপন করেন তিনি।
এমপি আবু জাহির বলেন, বোমা হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ২১ আগস্টেও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। এসব হত্যার বিচার বানচালের জন্য জজ মিয়ার নাটক সৃষ্টি করেছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যে পরিস্কার হয়েছে, প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে দেশবিরোধে ষড়যন্ত্র করে বিএনপি-জামায়াত। রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় তাদেরকে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি হবিগঞ্জবাসীর কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছু নেই উল্লেখ করে এমপি আবু জাহির বলেন, হবিগঞ্জে বাল্লা স্থলবন্দর, শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাসহ ২০১৪ সালে আমার করা সবক’টি দাবি ৬ বছরের মধ্যে পূরণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য হবিগঞ্জবাসী সৌভাগ্যবান।