জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

নবীগঞ্জে কষ্টি পাথরের মূর্তি! আলোচনা-সমালচনার ঝড়

শাহরিয়ার আহমেদ শাওনঃ

নবীগন্জে কষ্টি পাথরের মূর্তি পেয়ে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়েছেন পাহাড়ে মাটি কাটা জৈনিক ব্যক্তি। এ নিয়ে আলোচনা-সমালচনার ঝড় বইছে নবীগঞ্জসহ আশ-পাশের এলাকায়।

নবীগন্জ উপজেলার ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের লোওগাও গ্রামে ঘটেছে এমন লঙ্গা কান্ড। জনৈক ব্যক্তি রাতারাতি কোটি টাকার সম্পতির মালিকানাধিন হয়ে যাওয়ায় এলাকা জুরে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালচনা। কেউ বলছেন আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন কেউ বা বলছেন পাহাড়ে মাটি কাটার কাজ করার সময় কুষ্টি পাথরের মূর্তি পেয়েছেন । এমন নানান জনের নানান মত সৃষ্টি হওয়ায় এই নিয়ে এলাকায় রসালু হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, গজনাইপুর ইউনিয়নের লোওগাও গ্রামের মৃত এরশাদ উল্লাহর জৈনিক পুত্র আমজদ আলী কিছুদিন আগেও মাটি কাটার কাজ করতেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিন মজুরী কাজ করতেন। যে কাজ পেতেন সেই কাজেই করতেন সময়ে সময়ে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এমন ব্যবধানে এলাকায় আলোচনা সমালচনা শুরু হয়।

এতক্ষণ কথা হচ্ছিল জনৈক আমজাদ মিয়ার কথা। আমজদ মিয়ার আয়ের উৎস কি বা এতো কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কী করে হলেন জনমনে এই প্রশ্ন নিয়ে ঘুরপাক সৃষ্টি হয়েছে। লোওগাঁও গ্রামের আব্দুর রউপ মিয়া জানান বেশ কিছুদিন আগে উনার বাড়ীর পাশে একটা পাহাড়ী ঢিলার মাটি কেটে সমান্তরাল করেন । এসময় একটি ধাতব আকৃতির মূর্তির সংশ্লিষ্টতা পান তা এলাকার সবাই জানেন। পরিবর্তীতে এই বিষয় টি জানা জানি হলে মূর্তি চুরি করার উদ্দশ্যে বিভিন্ন সময় আমজদ মিয়ার বাড়ীতে চুরি সংঘঠিত হয় বলে জানা যায় ।

এ ব্যপারে কায়স্থ গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুল খালেক মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যে এতো টাকার মালিক আমজদ মিয়াকে অবিশাস্য বিষয় মনে হচ্ছে । দেখে বুঝার কোনও উপায় নেই তিনি এতো টাকার মালিক । কিছু দিন পূর্বে পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটির ভিতরে থাকা কোনও গুপ্তধন পাওয়ার কারনেই হয়তো রাতারাতি কোটিপতি।

আব্দুল কালাম নামের আরেক প্রতিবেশী উনার সম্পর্কে বলেন, আমজদ মিয়া তেমন কিছু করতেন না । বিভিন্ন সময় যে কাজ পেতেন সেটাই টুকটাক কাজ করতেন । কিন্ত অল্প দিনে অসৎ কোনও উপায়ে হয়তো এতো কোটি টাকার সম্পদ লাভ করেছেন ।

এ বিষয়ে আমজদ মিয়ার সাথে সাক্ষাত করলে তিনি কোনও কুষ্টি পাথরের মূর্তি পান নি বলে অস্বীকার করেন । তিনি বলেন মাটি কাটার সময় একটা শিকের ঢুকরা
পেয়েছিলাম তা ভাঙ্গারীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি।

এতো টাকা তিনি কীভাবে পেলেন, আয়ের উৎস কী? জানতে চাইলে তিনি স্পস্ট কোন জবাব না দিয়ে আল্লায় দিছেন বলে জানান।