জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

ভাগ্যের রজনীতে আমাদের ভূমিকা ; আব্দুর রউফ আশরাফ

বরকতময় রমযানের বরকতময় একটি রাত। বৎসরের তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাসের একটি তাৎপর্যপূর্ন রাত। মহিমান্বিত এ রাত্রটি আমাদের সবার কাছে মহামূল্যবান রাত্র। কুরআনের ভাষায় হাজার মাসের চেয়ে উত্তম একটি রাত সবে ক্বদর। এ রাত্রটি রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রে এ রাত্রটি হয়। অর্থাৎ বেজোড়ের যে কোন একটি রাতই সবে ক্বদর। ক্বদের রাত। মূল্যবান রাত।

যে রাত্রের গুরুত্ব মহাত্ম আল্লাহ স্বয়ং নিজে বর্ণনা করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়েকেরাম, তবেঈন তবেতবাঈন,উলামায়েকেরামগন এ রাত্রটি অধিক গুরুত্ব দিতেন। গুরুত্বসহকারে ইবাদত করতেন। ভীষন কান্নাকাটি করতেন। এ রজনীটি পেয়ে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়াতান ইবাদত করতেন। দোয়ায় মশগুল থাকতেন। আগামী এ রাত্রটি পাওয়ার জন্যে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করতেন। অনুতপ্ত হতেন। পাপের প্রতি লজ্জিত হয়ে সিজদায় লুটে পড়তেন। ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর আশাতীত দোয়া করতেন। জাহান্নাম থেকে জান্নাতের পথ খুঁজতেন।

এ রাত্রটি আমাদের কাছেও ক্বদরের। মূল্যবানের। অনুতপ্তের। ভাগ্যের। এ রাত্রে আমরাও সর্বাত্মক চেষ্টা করি অন্যান্য রাতের তুলনায় ইবাদত বেশি করি। গুরুত্ব দেই। কান্নাকাটি করি। অনুতপ্ত হই। দোযখ দেখে পানা চাই। বেহেশত চাই। একে অন্যের সহানুভূতি কামনা করি। ইবাদত করার দৃঢ় প্রত্যয়ে মনযোগী হই।

আমরা সাধারনত এ রাত্রটি উপলক্ষে আল্লাহর হকের গুরুত্ব দেই। বান্দার হক পালনে যথাযথ উদ্যমী হই। এ রাতে আমরা একে অন্যকে মাপ করি। ভুলভ্রান্তি মুছন করি। সম্পর্কে রসকষ দিয়ে লেপন করি।

অথচ এটা আমাদের মধ্যে একটি রুসুমে পরিণত হয়েছে। একটি কু-সংস্কারের গন্ধের কু-হাওয়া লাগে। আমরা যদি প্রতিদিন মূল্যবান রাত মনে করি ইবাদত করি। আল্লাহর হক ও বান্দরা হক পরিপূর্ণ আদায় করি তাহলে সুন্দর সমাজ গঠন হবে। আল্লাহ খুশি হবেন।

আল্লাহর ভুলের জন্যে সাথেসাথে মার্জনা করি। তওবা করি। অনুতপ্ত হই। তাহলে প্রতিটি রাত ভাগ্যের। বান্দরা হকের ক্ষেত্রেও তেমন যদি করি। একেঅন্যের ভুলের জন্যে সাথেসাথে ক্ষমা করি। তাহলে প্রতিটি রাতই মূল্যবান। প্রতিটি রাত ভাগ্যের। প্রতিটি সকাল-সন্ধ্যা হবে আদর্শিক সমাজের অংশ। ধর্মীয় সমাজ গঠনের উপায়।

প্রতিটি রাত যেন আমাদের ক্বদরের হয়।
প্রতিটি রাত যেন ভাগ্যের হয়।
প্রতিটি রাত যেন কল্যাণের হয়।
ভাগ্যের রাতে ভাগ্যের ফরিয়াদ করি।