ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দশ বছর পর্যায়বৃত্তি অনুসরণপূর্বক ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুষ্টিত হবে আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন।
পক্ষকাল ব্যাপী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক দেশ ব্যাপী জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হবে। এ উপলক্ষ্যে উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা বানিয়াচং উপজেলায় গত ১৯ মে অনুষ্টিত হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের জন্য ইতিমধ্যে ৬শ ৬৮ জন গননাকারী,১শ ১৯ জন সুপারভাইজার ও ৮ জন জোনাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
২০২০ সালেই জনবল নিয়োগ করা হয়েছিলো। এই সকল জনবলকে ৩০ মে থেকে ধাপে ধাপে ১২ জুন পর্যন্ত ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা সম্পূর্ণভাবে ট্যাবের মাধ্যমে সংগ্রহ করে সুপারভাইজার ও জোনাল অফিসারদের মাধ্যমে প্রেরণ করবেন।
এই শুমারির মাধ্যমে সঠিক জনসংখ্যা জানার পাশাপাশি শিক্ষার হার,আর্থ-সামাজিক অবস্থা,তথ্য প্রযুক্তিতে অগ্রসর হওয়া,পেশা,গৃহ ও ভূমিহীনদের সংখ্যা,স্যানিটাইজেশনের উন্নতির চিত্র তুলে আনা হবে।
এই শুমারির মাধ্যমে স্ব-স্ব এলাকার সামগ্রিক বাজেট ও সার্বিক উন্নয়ন করতে এই শুমারির সঠিক তথ্য দেশের স্বার্থে প্রয়োজন বলে জানানো হয়। পরিসংখ্যান আইন-২০১৩ অনুযায়ী সরকারি জরিপ ও শুমারি কাজে সকলেই তথ্য দিতে বাধ্য।
জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রচার প্রচারণার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এইজন্য মসজিদে মসজিদে খুতবার সময় মুসুল্লীদের জানানো,মাইকিং,লিফলেট বিতরণ সহ যাবতীয় প্রচরণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীদের সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আমাদের শুমারির কাজ সঠিক ও সুষ্টভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
একই সাথে আমরা আশাবাদী হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় আমরা আপনাদের সহযোগিতায় শুমারির কাজ সুষ্টভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।