হবিগঞ্জের বাহুবলে খালুর ধর্ষণের শিকার হয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে৷ এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে খালু আব্দুর রউফ(৪৫)কে গ্রেফতার করেছে৷
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়ইউড়ি গ্রামে।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,বাহুবল উপজেলার ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নের মীরেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা জনৈক দিনমজুরের কন্যাকে তার মা মারা যাওয়ার পর উপজেলার ছোট বড়ইউড়ি গ্রামে খালার বাড়িতে রেখে মহিলা মাদ্রাসায় লেখাপড়ার জন্য ভর্তি করেন। খালু আব্দুর রউফ তার শালিকার মেয়ে ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে৷ পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে গৃহবন্দী করে রাখে লম্পট খালু । এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীকে তার পরিবারের সাথেও যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয় আব্দুর রউফ।
এঅবস্থায় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই ছাত্রীটি৷ যতই দিন গড়াচ্ছিল ততই শিক্ষার্থীর অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো। গত সপ্তাহ শিক্ষার্থীর বাবা ও তার আত্মীয়স্বজনরা অন্তঃসত্ত্বার খবর পায়। মেয়ের এমন জঘন্যতম ঘটনার খবর পেয়ে দিনমজুর ও অসহায় পিতা বিষয়টি নিরবে তার অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের কাছে গিয়ে মিমাংসার চেষ্টা চালান৷ কিন্ত প্রভাবশালী আব্দুর রউফ দিনমজুর ব্যক্তিকে কোন পাত্তাই দেয়নি৷ পরে ছাত্রীটির পিতা বাহুবল মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷
এ ঘটনার খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার এস আই সমীরণ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে লম্পট খালু আব্দুর রউফকে আটক করে৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে আটককৃত আব্দুুর রউফকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে৷
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার মানবকন্ঠকে জানান- খালুর ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীটি বর্তমানে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা৷ আসামী আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।