হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটি-২০২২ এর অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেল ৪টায় বাহুবল উপজেলা কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মাসুমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এফ আর হারিছের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর আহমদ ইকবাল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পুরষ্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শোয়েব চৌধুরী ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুহুল হাসান শরীফ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলী ফরহাদ, মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাহুবল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য শামীম আহমদ, লামাতাশি ইউপি চেয়ারম্যান আ ক ম উস্তার মিয়া তালুকদার, বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস আহমদ চৌধুরী তুষার, সিনিয়র সহ সভাপতি হাফেজ আব্দুর রকিব,প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ,দপ্তর সম্পাদক টিপু সুলতান জাহাঙ্গীর প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সাংবাদিকদের উদ্যেশে বলেন, ইউএনও অফিস ও থানার দালালী ছেড়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করতে হবে। প্রেসক্লাবের সভাপতি সেক্রেটারীর পরিচয় দিয়ে ভূমি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রারী অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে দালালী করা যাবে না। তাদের দাওয়াত পাওয়ার আশায় চামচামি করবেন না। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা কেন আপনাদের দাওয়াত দিবে। তাদের অফিসে বসে চা পান খাওয়া বন্ধ করতে হবে। সব বিভাগের অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে হবে। কোন তথ্য জানতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করবেন। তথ্য দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বাধ্য।
বক্তারা আরও বলেন, অনেক সময় দেখবেন কোন পত্রিকা নেই সে একটা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের অফিসে গিয়ে বসে থাকে। তখন তাদের অফিসিয়াল গোপনীয় কাজ করতেও অসুবিধা হয়। এই সমস্ত বিষয়গুলি মাথায় রেখে কাজ করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সিহাব আহমেদ। উল্লেখ্য, গত ২৩ মে এক সাধরণ সভার মধ্য দিয়ে ২ বছর মেয়াদি ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।