দীর্ঘ ৯ বছর পর হবিগঞ্জ জেলা মাধবপুর উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আগামী (৩০ জুলাই)তারিখে নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলন ঘিরে নেতা–কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ কারা পাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। তবে অধিকাংশ নেতা–কর্মীই দলীয় কার্যক্রমে গতি ফিরিয়ে আনতে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় ৩০ জুলাই সম্মেলন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। সম্মেলন হওয়ার নির্দেশনা আসার পরই সরব হয়ে উঠেছেন নোয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এই কমিটির পদপ্রত্যাশীরা ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন এবং দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিকেল হলেই নোয়াপাড়ার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে নেতা-কর্মীদের জটলা দেখা যাচ্ছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। তবে দল ক্ষমতায় থাকায় নেতা হওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা করছেন কর্মীরা।
অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সূত্র জানা যায়, ২৭ জানুয়ারি ২০০৯ সালে অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। দীর্ঘ ০৯ বছর আগের ওই সম্মেলনে অলিউর রহমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনু মিয়া সহ-সভাপতি পদে মোঃ মলাই মাষ্টারসহ। ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সেই কমিটির সভাপতি সহ অনেকেই মারা গেছেন আর একজন বিদ্রাহী। আবার অনেকে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে দলটিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে দাবি করেছেন। তবে এই অচলাবস্থার মধ্যেও জাতীয় ও স্থানীয় সব কর্মসূচি পালন করে গেছেন বলে দাবি বর্তমান নেতাদের।
বর্তমান কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মলাই মাষ্টার বলেন, ০৯ বছর আগে তাদের কমিটি হয়েছিল। এরপর অনেকবার সম্মেলনের জন্য নেতাদের বলেছেন, কিন্তু হয়নি। তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনেও তিনি সভাপতি প্রার্থী হবেন। পাশাপাশি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকও সম্পাদক পদের প্রার্থী।
মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আব্দুল মন্নান খোকন বলেন, বর্তমানে নোয়াপাড়া ইউনিয়নে যে নবীন-প্রবীণ নেতা–কর্মী আছেন, সবাই চান নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক। সেই জায়গা থেকে তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি বলেন, অনেক আগেই এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়া দরকার ছিলো
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মহিউজ্জামান হারুন বলেন, ৩০ জুলাই অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের পর প্রস্তুতি উপ-কমিটি করা হয়েছে।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামী দিনে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।
সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিয়ন ও ওর্য়াড কাউন্সিলরবৃন্দ এবং জেলা নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় আমরা যাতে প্রধানমন্ত্রীকে একটি শক্তিশালী ইউনিয়ন কমিটি উপহার দিতে পারি, এজন্য কাজ করছি।