বিল্লাল আহমেদ: আলু উৎপাদনে এলাকা হিসাবে পরিচিত হবিগঞ্জের হাওরাঞ্চল বেষ্টিত লাখাই উপজেলা। বৃষ্টির কারণে আলু চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ২০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও চাষ হয়েছে ।
আলু চাষ সফল করতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ।
এ ছাড়া আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে। যে আলু বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের কৃষক নাসির মিয়া এবার দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করে।
শতকে ৬০ কেজি উৎপাদিত উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উপজেলা ভিত্তিক আলু চাষের মধ্যে রয়েছে কৃষি বিভাগ আরও জানায়, আলু চাষ সফল করতে উপজেলায় সারের মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে।
উপজেলায় আলু চাষ সফল করতে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন বলে জানান,লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান তিনি আরো বলেন আবহওয়া ভালো থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা। আলু রোপনের পর বৃষ্টি হয় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লাখাই উপজেলায় আলু উন্নত মানের হওয়ায় প্রাচীন এ হাওরাঞ্চল হিসেবে পরিচিত এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ হয়ে থাকে।
ফলন ভালো হওয়ায় উপজেলায় উন্নত জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকেন কৃষকরা। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় বলে জানায়, কৃষি বিভাগ।
ইউনিয়ন উপ সহকারী কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন কৃষি অফিস নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে কৃষককে উদ্ভুদ্ধ করণের মাধ্যমে করানো হয়েছে, এটি ভালো জাতের আলু।
আগামীতে আবহাওয়া অনুকুল থাকলে এ জাতের আলুর আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন প্রায় খরচ ২০০০/
তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা প্রতি সাপ্তাহে ছত্রাকনাশক স্পে করতে হয়।