হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নে টমটম গাড়ির সিরিয়ালকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লোকজনের ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৩ জনের প্রাণহানি ও অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হুসাইনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ৯ মে বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে ইউপি সদস্য সুহেল মিয়া ও পরাজিত সদস্য বদির মিয়ার মধ্যে পূর্ব বিরোধ এর জের ধরে এই সংঘর্ষটি সংঘটিত হয়েছে।
দুপুরের দিকে আগুয়া বাজারে টমটম চালক কাদির মিয়া ও স্টেন্ড ম্যানেজার বধির মিয়ার মধ্যে সিরিয়াল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি বড় হয়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়।
এবং বর্তমান ইউপি সদস্য সুহেল (মেম্বার) পরাজিত ইউপি সদস্য বদির (মেম্বার) মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাঁকডাক ছেড়ে একে অন্যর উপর ঝাপিয়ে পড়েন এবং উভয় পক্ষের মধ্যে ঘন্টা খানেকের মতো সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ সামাল দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এদিকে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই শুক্কুর মিয়ার পুত্র কাদির মিয়া (৩০) ও মৃত বজলু মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৫০) নামের দুই জনের প্রানহানীর ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এদিকে গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনের মধ্যে মৃত আলী রেজার পুত্র লিলু মিয়া (৪০) নামের আরও একজন হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মারা যান।
এই পর্যন্ত সংঘর্ষে কাদির মিয়া, সিরাজ মিয়া ও লিলু মিয়াসহ মোট ৩ জনের প্রানহানীর ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বানিয়াচং থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ।
তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষে আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে সর্বশেষ বেলা ৫টার দিকে এঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে এই সংঘর্ষের ঘটনায় ৩জনের মৃত্যুর পর থেকে আস্তে আস্তে গ্রামটিতে পুরুষ শূন্য হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।