হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই বাড়ছে অবৈধ করাত কলের সংখ্যা। সরকারি বিধিবিধান উপেক্ষা করেই এসব করাতকল গড়ে তুলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
মূলত করাতকলের পার্শবর্তী পাহাড়ি বনানচল ও চা বাগান থাকায় উপজেলায় জমে উঠেছে করাত কলের ব্যবসা।
করাত কলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন রাতে একটি গাছ চোর চক্র বনের গাছ ও চা বাগানের গাছ পাচারের প্রবণতা ও বেড়েছে ।
বিধি অনুযায়ী সংরক্ষিত বন থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো করাত কল অনুমোদন দেয়া হয় না ।
যেমন – শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , হাসপাতাল , স্বাস্থ্য কেন্দ্র , ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ২ শ মিটারের মধ্যে ও কোনো করাত কল চলা নিষেধ সূত্র বন বিভাগ।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নুরপুর ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা সহিদ মিয়া জানান , শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পার্শ বর্তী চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা বন সমৃদ্ধ এলাকা এবং চা বাগান ।
এসব বনানচল ও চা বাগানের পাশেই উপজেলায় পৌরশহর এবং ইউনিয়নে ঘিরে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি করাতকল।
অবৈধ করাত কলের সঙ্গে বন বিভাগের কর্মকর্তা – কর্মচারীরা জড়িত রয়েছে । নামেমাত্র লোক দেখানো খাতা-কলমে অভিযান ।
তাদের যোগসাজশে চা বাগান ও পাহাড়ের গাছ কেটে এনে করাত কল ছিড়ে পাচার করা বিভিন্ন ফার্নিচার দোকানে বিক্রি করা হয় ।
অনেক সময় কাট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয় ।
গত ২০২১ সালে ৩০ জুন দুপুরে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও ) মোঃ মিনহাজুল ইসলাম ও বন বিভাগের কর্মকর্তার যৌথ অভিযানে করাত কলে বৈধ লাইসেন্স না থাকায় উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নে সুতাং বাজারে করাত কলের ব্যবসায়ী এবং নোয়াগাঁও গ্রামের মোঃ আব্দুল কাদির , সুতাং বাজার এলাকার মোঃ নবীর হোসেন এবং ব্রামণডোরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মোঃ রকিব মিয়া ও পুরাই কলা বাজারের মোঃ মোজাম্মেল হক কে করাত কলের মালামাল জব্দ করা করা হলে ও আবারও করাত কলের যন্ত্রাংশ বন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এনে চালু হচ্ছে অবৈধ করাত কল।
উপজেলায় প্রায়ই করাত কলে লাইসেন্স নেই কিন্তু পাহাড় ও চা বাগানের চোরাই গাছ ছিড়ে অবৈধ করাত কলের মালিক কোটি টাকা মালিক বনে যাচ্ছে ।