জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই শায়েস্তাগঞ্জে অবৈধ করাত কলের ছড়াছড়ি

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই বাড়ছে অবৈধ করাত কলের সংখ্যা। সরকারি বিধিবিধান উপেক্ষা করেই এসব করাতকল গড়ে তুলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

মূলত করাতকলের পার্শবর্তী পাহাড়ি বনানচল ও চা বাগান থাকায় উপজেলায় জমে উঠেছে করাত কলের ব্যবসা।

করাত কলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন রাতে একটি গাছ চোর চক্র বনের গাছ ও চা বাগানের গাছ পাচারের প্রবণতা ও বেড়েছে ।

বিধি অনুযায়ী সংরক্ষিত বন থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো করাত কল অনুমোদন দেয়া হয় না ।

যেমন – শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , হাসপাতাল , স্বাস্থ্য কেন্দ্র , ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ২ শ মিটারের মধ্যে ও কোনো করাত কল চলা নিষেধ সূত্র বন বিভাগ।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নুরপুর ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা সহিদ মিয়া জানান , শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পার্শ বর্তী চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা বন সমৃদ্ধ এলাকা এবং চা বাগান ।

এসব বনানচল ও চা বাগানের পাশেই উপজেলায় পৌরশহর এবং ইউনিয়নে ঘিরে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি করাতকল।

অবৈধ করাত কলের সঙ্গে বন বিভাগের কর্মকর্তা – কর্মচারীরা জড়িত রয়েছে । নামেমাত্র লোক দেখানো খাতা-কলমে অভিযান ।

তাদের যোগসাজশে চা বাগান ও পাহাড়ের গাছ কেটে এনে করাত কল ছিড়ে পাচার করা বিভিন্ন ফার্নিচার দোকানে বিক্রি করা হয় ।

অনেক সময় কাট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয় ।

IMG 20240829 WA0004

গত ২০২১ সালে ৩০ জুন দুপুরে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও ) মোঃ মিনহাজুল ইসলাম ও বন বিভাগের কর্মকর্তার যৌথ অভিযানে করাত কলে বৈধ লাইসেন্স না থাকায় উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নে সুতাং বাজারে করাত কলের ব্যবসায়ী এবং নোয়াগাঁও গ্রামের মোঃ আব্দুল কাদির , সুতাং বাজার এলাকার মোঃ নবীর হোসেন এবং ব্রামণডোরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মোঃ রকিব মিয়া ও পুরাই কলা বাজারের মোঃ মোজাম্মেল হক কে করাত কলের মালামাল জব্দ করা করা হলে ও আবারও করাত কলের যন্ত্রাংশ বন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এনে চালু হচ্ছে অবৈধ করাত কল।

উপজেলায় প্রায়ই করাত কলে লাইসেন্স নেই কিন্তু পাহাড় ও চা বাগানের চোরাই গাছ ছিড়ে অবৈধ করাত কলের মালিক কোটি টাকা মালিক বনে যাচ্ছে ।