সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , উপজেলায় কৃষকরা রূপায়িত কৃষি জমিতে আবাদ ধান নিয়ে কৃষককুলে চিন্তায় পানির অভাবে জমি গুলো ফেটে যাচ্ছে । অন্য দিকে কৃষি জমি তলা ও শুকিয়ে ধানের গাছে লালচে মৌসুমে ধানের চাষ সম্পূর্ণ বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল হওয়ায় বিপাকে আছেন কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় , দেশের বেশির ভাগ জেলায় চলছে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টি । খাল বিল ও নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে । ফসলের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে । একমাত্র পানির জন্য কৃষকের আমন ধানের ভালো ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে বহু কৃষক ।
বৃষ্টি না হলে আমন ধান ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে কৃষকরা জানান, প্রচন্ড তাপ দাহ তীব্র খরা আর অনা বৃষ্টিতে একদিকে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে । তেমন অন্য দিকে হুমকি মুখে পড়েছে মাঠে আমন ধানের ফসল । এতে ধানের ফসল নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর সভার কৃষকরা ।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মশিউর রহমান সূত্রে জানা যায় , এ বছর উপজেলায় আমন আবাদ হয়েছে প্রায় ২৬ শ হেক্টর কৃষি জমি । লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হেক্টর । বর্তমানে ও নিম্ন এলাকায় জমিতে টুকটাক রোপণ করছে কৃষকরা।
নিশাপট এলাকার মোঃ সইব উল্লা জানান, আমরা বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি দিয়ে আমন চাষ করতাম। ধান লাগানো পর থেকে বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে গিয়ে আমার জমি ও বর্গা জমি ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে । সেচের পানি নিতে বাড়তি টাকা দিতে হয় । তাই বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় রয়েছি কিন্তু এছাড়া কোনো উপায় নেই।
কাজিরগাঁও গ্রামের মোঃ সাহেদ আলী বলেন , বাজার থেকে ঘরে এনে সার রাখা হয় । জমিতে পানি না থাকায় দিতে পারছিনা কিন্তু বৃষ্টি জন্য অপেক্ষায় আছি
সময়মতো সার দিতে না পারলে আমন ধানের গাছে পুষ্টি পাবে না । পুষ্টি জন্য ফসল ঘাটতি দেখা দেবে ।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ তোফায়েল আহমেদ বলেন , বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জায়গায় কৃষকের জমি পানি শুকিয়ে যাচ্ছে । কৃষক অনেক জায়গায় সার প্রয়োগ করতে পারছে না । ফলনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।