হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কলিমনগর চৌমুহনী পাশে যাত্রী চাউনি পেছনে কর্তৃপক্ষ নিরব থাকায় সরকারি খাস জায়গায় একাধিক গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়ায় থানা পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দিলেন।
এলাকা পথচারী সূত্রে জানা যায় , সোমবার ( ১৪ অক্টোবর) সারাদিন ব্যাপী শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে শায়েস্তাগঞ্জ – হবিগঞ্জ সড়কে কলিমনগর চৌমুহনী নামক স্থানে দীর্ঘ বছর পূর্বে জেলা পরিষদের নির্মীত যাত্রী ছাউনি পেছনে বিশাল জায়গায় ছোট – বড় বিভিন্ন সাইজের প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি ফলের গাছ ও কাঠের গাছ কর্তন করেছে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের চরহামুয়া গ্রামের মৃত হাজী ফিরুজ আলী ছেলে মোঃ আব্দুস শহিদ ( ৫৬) সহ তার সহযোগী একটি সংঘবদ্ধ দল ।
উক্ত সরকারি খাস খতিয়ানে ভূমি শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের হামুয়া চর মৌজার জে এল নং – ১২৫ এর ২৪৬১ সাবেক দাগের ৫৬ শতক ডিসি খতিয়ানের জায়গা থেকে গাছ কর্তন করে । সরকারি খাস খতিয়ানে জায়গায় সকাল থেকে গাছ কর্তন করার বিষয়ে পথচারীরা সকাল ১১ টা দিকে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদারকে ফোন করলে রিসিভ করেন নি । পরে বিকাল সাড়ে ৩ টায় এলাকার পথচারী অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে , শায়েস্তাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ খবর পেয়ে থানার এস আই মোঃ আবুল কাশেম সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ কাটা দৃশ্য দেখতে পায়।
সড়ক ও জনপথের জায়গায় ৪ টি গাছে ডালপালা কেটে ফেলে এবং যাত্রী ছাউনি পেছনে অসংখ্য ফলের গাছ ও কাঠের গাছ থেকে ফেলে স্তুপ করে রাখা হয় ।
এ সময় থানা পুলিশ আব্দুস শহিদ কে জিজ্ঞেস করে কিভাবে সরকারি জায়গা থেকে গাছ কর্তন করেছো কাগজপত্র নিয়ে সন্ধার পর থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় । যে সব গাছ কর্তন করা হয়েছে কোনো ডালপালা নিতে পারবে না কিন্তু এ জায়গায় থাকবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয় নি ।