হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় ৬ নং বুল্লা ইউনিয়নের ভাটি এলাকার জেলা সদরের সাথে একমাত্র যোগাযোগ এর মাধ্যম লোকড়া মাদনা রাস্তার বেহাল দশা জন ভোগান্তিতে এলাকার ভুক্তভোগী জনগণ।
মাদনা থেকে শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হল লোকড়া মাদনা রাস্তাটি। লাখাই উপজেলার ৬ নং বুল্লা ইউনিয়নের প্রায় ১৩ টি গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হল এ রাস্তা।শুধু তাই নয় পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার প্রায় ৮থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। মাদনা থেকে লোকড়া পর্যন্ত পাকা ঢালাই রাস্তা। লোকড়া হতে মাদনা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা ঢালাই। কিন্তু ওই রাস্তাটি মাঝে মাঝে ভেঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
কয়েক মিটার দূর দূর বড় বড় ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা গুলো গর্তের আকার ধারণ করেছে। যা সিএনজি মোটরসাইকেল টমটম সহ বিভিন্ন গাড়ি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হয়।ঢালাই রাস্তাগুলো মাঝে মাঝে ভেঙে রাস্তায় থাকা রডগুলো কোথায় দাঁড়িয়ে আছে কোথাও হেলে আছে। যার কারণে যে কোনো গাড়ি বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে এবং ওই অঞ্চলের বৃদ্ধ রোগী, গর্ভবতী মহিলাদেরকে নিয়ে জেলা শহর হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে যেতে রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারণে বড়দের ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে না স্থানীয় রোগীরা।
তাছাড়া এই অঞ্চলে ৮থেকে ১০টি প্রাইমারি স্কুল এবং ২ টি হাই স্কুল ও ১টি কলেজসহ কয়েকটি ক্লিনিক রয়েছে। মাদনা বাজারে লাখাই উপজেলার একটি পুলিশ ফাঁড়িও রয়েছে। প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা সহ বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তারা যাতায়াত করেন। রাস্তার এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থাকার কারণে অনেক সময় তারা সঠিক সময়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে পারে না।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদনা বাজার থেকে গোয়াকাড়া এবং ভুমাপুর পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙে মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে রাস্তার ভাঙ্গা গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে।যার কারণে কোন ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারে না।
ভুক্তভোগী ভরপুর্নী গ্রামের কাউছার মিয়া জানান, আমরা ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে খুব বেশি সমস্যা হয়। আমাদের ছেলেমেয়েরা এখান থেকে হবিগঞ্জ বিভিন্ন স্কুল কলেজে লেখাপড়া করতে যেতে হয়। তারা পাকা রাস্তা থাকা সত্ত্বেও সঠিক সময়ে কলেজে পৌঁছাতে পারেনা।বর্ষার সময়ে আমরা নৌকা দিয়ে যাতায়াত করি। প্রায় সময় দেখা যায় এই রাস্তাতে মোটরসাইকেল, টমটম,অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন যানবাহনের দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের দাবি আমাদের রাস্তাটি দ্রুত পুনরায় সংস্কার করলে আমাদের উপকার হবে। আমাদের যাতায়াতের সময় ও ভোগান্তি কমবে।
এ ব্যাপারে বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ জানান, এ রাস্তার কিছু অংশ সমস্যা রয়েছে আমি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।