হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় মুরাদপুর ও কামালখানী গ্রামের বন্দের বাড়ি এলাকায় পৃথক পৃথক সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১১জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গুরুতর ২জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসাপাতালে প্রেরন করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।
এদিকে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করারও খবর পাওয়া যায়।
যেকোনো সময় দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে পুনঃরায় সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা বিরাজ করছে বলে জানান এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার ১৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের (পাহাড়পুর)
গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
ওই গ্রামের কাজল মিয়া ও মহিবুর রহমানের সাথে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরুদ্ধে চলে আসছে।
বৃহস্পতিবার (১২ডিসেম্বর)
সকালে দুপক্ষের মাঝে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এতে দু’পক্ষে অন্ততপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
আহতরা হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
এর মধ্যে গুরুত্বর আহত টেটা বৃদ্ধ মহিদ মিয়া(৩৫)কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হুসেন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,
বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এছাড়া উভয়পক্ষের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করেছি তারা চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ দেন নাই।
তবে অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অন্যদিকে উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের কামালখানী বন্দের বাড়ি এলাকায় দুপুর ১টার দিকে ধানের খড়ে গরু মুখ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কবির মিয়া,মোতালেব গং ও জিলু মিয়ার মধ্যে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে জিলু মিয়া গুরুতর আহত হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসাপাতালে নেওয়ার খবর পাওয়া যায়।