জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

ছাত্রলীগ সেক্রেটারি মাহি’র ভাই আটক অত:পর কারাগারে প্রেরণ

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী এক দফা ছাত্র আন্দোলনে নিহত হন ১০জন এবং আহত হন শতাধিক এর উপরে।

পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়ের হাতে ১০জনের প্রানহানীর ঘটনা ঘটে।

এসব ঘটনার ১৬ দিন পর ২২ আগষ্ট নিহত এক শিশুর পিতা বাদী হয়ে ৯টি হত্যার অভিভাবক হয়ে সাবেক দুই এমপি,সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান,কয়েকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ পরিবারের নেতৃবৃন্দসহ ১৬০জনকে নামীয় আসামি করে এবং ৩০০জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে একটি মামলা করেন ছানু মিয়া।

তারপর এই মামলায় এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়।

এছাড়াও অন্যান্য মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৫জনকে এই মামলায় শোন এরেস্ট দেখানো হয়েছিলো।

তারা বর্তমানে সবাই জেল হাজতে রয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মহিবুর রহমান মাহির আপন বড় ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২০ ডিসেম্বর শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া মাহীর আপন বড় ভাই জিয়াউর রহমানকে এই ৯ মার্ডার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়।

এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হুসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি।

এই মামলায় এ-ই পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সর্বশেষ জানতে রাত ৯ টা ৩৬ মিনিটে মামলার আইও এসআই জাহাঙ্গীর আলম আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,গত ১৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউপি’র উত্তর সাঙ্গর গ্রাম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় অফিসারদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে মৃত কিম্মত আলীর পুত্র ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহির আপন ভাই জিয়াউর রহমান(৪৫)কে গ্রেফতার করেন।

২০ ডিসেম্বর (শুক্রবার)জিয়াউর রহমানকে ৯ মার্ডারের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার কারনে এই মামলার আসামি হিসাবে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।