জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বশীনা জামিয়া ইরফানিয়া মহিলা মাদ্রাসা’র শুভ উদ্বোধন

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বশীনা গ্রামে “বশীনা জামিয়া ইরফানিয়া মহিলা মাদ্রাসা” নামে মহিলা মাদ্রাসার উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার ২৮ শে ডিসেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে বশীনা গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি জনাব জসিম উদ্দিন আলফু সাহেব সভাপতিত্ব করেন ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বশনী ইসলামি একাডেমি’র প্রধান শিক্ষক মুফতি এম এ কাদির সাহেব।

এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শানখলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এডঃ মোঃ নজরুল ইসলাম সাহেব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ তুষার চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহুবল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী সামছুল আলম, হবিগঞ্জ দারুচ্ছুন্নাৎ কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মুফতি হাফিজ আহমদ নিজামী শাফি সাহেব, মিরপুর ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম চৌধুরী ফারুক মেস্বার সাহেব,বাহুবল প্রেসক্লাবের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মাছুম, মিরপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ নুরুল আমিন শাহজাহান, বশনী (রহঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ সিরাজুল হক, সৈয়দ শরফ আলম (রহঃ) এতিমখানার সভাপতি ডাঃ গোলাম কিবরিয়া বাদল, বাহুবল কিশলয় জুনিয়র হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামাল মিয়া, বাহুবল উপজেলা ছাত্রদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর ইসলাম হৃদয় মিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি মোজাম্মিল মিয়া।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোঃ আব্দুল হাই মাস্টার,হাফেজ এবিএম আবিদুর রহমান, হাফেজ আবুল কাশেম তালুকদার, হাফেজ শাহজাহান আহমেদ, আতিয়ার রহমান, জাহিদ হাসান চঞ্চল, স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব প্রমুখ।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা দ্বীনি শিক্ষায় মেয়েদের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। ইসলামী পরিবার গঠনে মেয়েদের দ্বীনি শিক্ষার অপরিহার্যতা নিয়েও আলোচনা করা হয় । বক্তারা মাদ্রাসার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক শাহজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ আলী বশনী সাহেবের প্রপিতামহ সৈয়দ ইরফান আলী বশনী রহঃ ও পিতা সৈয়দ তাহের আলী বশনী রহঃ এর স্মৃতিচারণ করে বক্তারা আরোও বলেন, দ্বীনি তাহযিব-তামাদ্দুন প্রচার প্রসারে বংশীয় ধারাবাহিকতা অব্যহত রেখে মঞ্জিলে ‘আলী’ খান্দান দরবার বশীনা গ্রামকে ইসলামি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে আলোকিত করার যে মহৎ উদ্দেশ্যে দ্বীনি মারকাযগুলো প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছেন চালিয়ে তা প্রশংসনীয় ও অনুসরণীয়।

দুনিয়ায় শান্তি ও পরকালে মুক্তির জন্য সন্তানদের অন্তত মৌলিক ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে বক্তারা মন্তব্য করেন৷ গ্রামবাসীকে স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার আহবান জানিয়ে পরিশেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন পীরে তরিকত মাওঃ জহিরুল ইসলাম সাহেব।