হবিগঞ্জের আইনশৃঙ্খলার অবনতি; সদর হাসপাতাল থেকে পুলিশের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ডাকাত পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাথরুমের কথা বলে পুলিশকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে গেছে জালাল মিয়া ওরফে স্প্রিং জালাল (৩৯) নামের সেই ডাকাত।
সে মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের মৃতঃ ডুগাই মিয়ার ছেলে।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় জালাল পুলিশদের বলে আমি বাথরুমে যাব এ সময় কৌশলে সে পালিয়ে যায়। ডিউটিতে কোন পুলিশ সদস্যরা ছিল? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসামীকে আমরা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ পুলিশ সদস্যদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম তাঁরাই দায়িত্বে ছিল।
গত ৬ ফেব্রুয়ারী ভোরে এসআই কাউছার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের সুন্দরপুর এলাকায় জয়নাল মিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এর আগে উলুকান্দি গ্রাম থেকে আরও ১ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত অন্যান্য আসামিরা হলেন, মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জমির আলীর পুত্র ফয়সাল মিয়া (৩২), মানিকপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার পুত্র রুবেল আহমদ রনি (২৬), সুন্দরপুর গ্রামের আছদ্দর আলীর পুত্র জয়নাল মিয়া (৪২), চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের ইদ্রিছ আলীর পুত্র রুহুল আমিন (২৪)।
পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকায় জয়নাল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় অভিযান চালায়। এসময় অবস্থানরত ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করতে আসে। তাৎক্ষণিক পুলিশ তাদের ঘেরাও করে আটক করে।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারী রাত ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের থানা এলাকায় দুই বিএনপি নেতা ডাকাতের কবলে পড়েন। একই সময় ডাকাতের হামলায় বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারী রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।