নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জঃ হবিগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত মহিলা আসনে বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী মুনা চৌধুরীকে এমপি হিসেবে দেখতে চান হবিগঞ্জবাসী । কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য শিততুল মুনা ওরফে মুনা চৌধুরী সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পর থেকে বিষয়টি এখন আলোচিত হচ্ছে হবিগঞ্জের সর্বত্র।
হবিগঞ্জের রাজনৈতিক এবং সমাজ সচেতন মানুষ মনে করেন, “আলোকিত সমাজ গড়তে প্রয়োজন আলোকিত মানুষ। হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা শিততুল মুনা (মুনা চৌধুরী) নিঃসন্দেহে একজন আলোকিত মানুষ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুমূখি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি তার কর্মে। মুনা চৌধুরী এমপি মনোনিত হলে পিছিয়ে পড়া হবিগঞ্জ হবে আলোকিত। পাশাপাশি সংগঠনিকভাবে আরো বেশী শক্তিশালী হবে হবিগঞ্জের আওয়ামী পরিবার।”
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে মুনা চৌধুরী জানান, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থনপুষ্ট পরিবারের একজন সন্তান হিসেবে তিনি শৈশব থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে আসছেন। দেশ গঠনে জাতির পিতার অনবদ্য অবদানের কথা বাবার মুখে শুনতে শুনতে কেটেছে শৈশবের দিনগুলো। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্ন ও আদর্শকে বাস্তবে রূপান্তর করার প্রাণান্তকর চেষ্টা তাকে রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি স্কুল জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনকালীন প্রচার কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। তাঁকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য যোগ্য বিবেচনা করলে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেকে উৎসর্গ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, মুনা চৌধুরী আওয়ামীলীগের রাজনীতির পাশাপাশি লেখা-লেখি, বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত সংবাদ পাঠক উপস্থাপনা, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত।
তার পিতা শওকত হোসেন চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নিবেদিত প্রাণ আওয়ামীলীগ নেতা। মুনা চৌধুরীর স্বামী ওমর মোঃ ইমরুল মহসিন সরকারের একজন উপ-সচিব হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন।
মুনা চৌধুরী ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একটি স্বনামধন্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এন্ড কলেজে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একজন লেখক ও আবৃত্তিশিল্পী। ২০১৮ সালের একুশে বই মেলায় তার ১টি কাব্যগ্রন্থ (অদৃশ্য জল) ও ১টি গল্পগ্রন্থ (অন্য প্রেম) প্রকাশিত হয়। এ বছরের একুশে বইমেলায়ও “সবুজ ভালবাসা” নামক তার আরেকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে।
ইতিপূর্বে শিল্প ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তাকে বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণসহ উপস্থাপনার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় আছেন। মুনা চৌধুরী ২০০৪ সালে ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে বি.কম ও ২০০৭ সালে ব্যবস্থাপনা এম.কম পাশ করেন।
মুনা চৌধুরীর স্বামী ইমরুল মহসিনের পরিবারের লোকজনও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ইমরুল মহসিন এর বাবা জনাব মোহাম্মদ মহসিন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে হবিগঞ্জের মনতলা রেলওয়ে স্টেশনে এসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টার হিসেবে দায়িত্বপালনকালে বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন।
স্বামীর ছোট ভাই রিদওয়ানুল মহসিন টিপু ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১১ সালে জামায়াত শিবিরের কতিপয় দৃঃস্কৃতিকারীর হামলায় নিজ বাড়িতে টিপু নিহত হন। তাঁর আরেক ছোট ভাই মোঃ আশফাকুল নোমানও সরকারের একজন উপ-সচিব। তিনি বর্তমানে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ১ম সেক্রেটারী হিসেবে কর্মরত আছেন।