নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাটে গৃহবধুকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ । উপজেলায় উবাহাঠা গ্রামে নাছিমা আক্তার (২২) নামে ঐ গৃহবধুকে প্রথমে হত্যা করে। মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল।হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী। যার দরুন সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত নাছিমা ওই গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী। শনিবার সকালে সে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে মারা যায়।
বানিয়াচং উপজেলার মন্দরী গ্রামের দিলোয়ার হোসেনের পুত্র মৃত নাছিমার ভাই হেলাল মিয়া অভিযোগ করে জানান, আজ থেকে ৮ বছর আগে সোহেলের সাথে নাছিমা কে বিয়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে তাদের সংসারে তাসকিন আহমেদ নামে একটি পুত্র সন্তান ও জন্ম নেয়। সম্প্রতি সোহেল পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়লে প্রায়ই এ নিয়ে তাদের সংসারে কলহ দেখা দেয়।
বিষয়টি নাছিমা হেলাল কে অবগত করত, গত শুক্রবার সোহেলকে তার পরকিয়া প্রেমিকার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সুষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে নাছিমাকে মারধর করে তার মুখে বিষ ঢেলে শুক্রবার রাতে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
শনিবার সকালে মারা যাবার পর সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন নাছিমার লাশ রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তার ভাই হেলাল ও তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে নাছিমার লাশ দেখে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
সদর থানার এসআই এসএম আতাউর রহমান লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেন। নাছিমার পরিবার জানায়, সে পরকিয়ার বলি হয়েছে। তারা সোহেল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করবে।
এসআই আতাউর জানান, আমার কিছু বলার নেই, ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। তবে মামলা হলে মামলা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।