নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (১২ জুন) সকাল থেকে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে এ্যাসিল্যান্ড মাসুদ রানা, এ্যাসিল্যান্ড ছাব্বির আহমেদ মঞ্জু ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইয়াসিন আরাফাত রানার নের্তৃত্বে শহরের কোর্ট স্টেশনমুখী ঘোষপাড়া ও মোহনপুর মধ্যবর্তী উভয় এলাকার ড্রেনের ওপর অপরিকল্পিতভাবে স্থাপিত একাধিক স্ল্যাব-দোকানপাট এবং শহরের কামড়াপুর সংলগ্ন সড়ক বিভাগের অধীন দখল হয়ে পড়া ভূমি থেকে প্রায় এ পর্যন্ত ৪০টি অবৈধ দোকানপাট, বাসা-বাড়ী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
এই অভিযানে নের্তৃত্ব দেয়া সদর এ্যাসিল্যান্ড মাসুদ রানা জনকন্ঠকে জানান, কামড়াপুর স্থানটিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা তালিকাভুক্ত ৮’শ স্থাপনা উচ্ছেদ করার লক্ষ্য নিয়ে আজ বুধবার এই অভিযানে তারা নেমেছেন।
প্রথম পর্যায়ে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ৪০টির মতো স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে। যা চলমান থাকবে এবং সংশ্লিস্ট এলাকা সহ পুরো শহরবাসীকে জলবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
এদিকে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ জানান, স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জলাবদ্ধতামুক্ত হবিগঞ্জ শহর উপহার দিতে কোন অবৈধ দখলদার ও পানি নিস্কাশনের পথ রুদ্ধ করেছে এমন ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তবে সাধারন মানুষের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের কর্তারা এ বিষয়ে এখন আন্তরিক হলেও পৌরসভার সংশ্লিস্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা- কর্মচারীগণ ড্রেন-খাল- নালায় ভরপুর ময়লা-অবর্জনা এবং গুড়িয়ে দেয়া অবৈধ স্থাপনার মালামাল পরিস্কারে পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।