নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বাহুবলের মিরপুর থেকে মাধবপুর পর্যন্ত প্রায় ১৬ স্পটে বিক্রি হচ্ছে চোরাই তেল।
রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড থেকে অপরিশোধিত ডিজেল বহনকারী ট্যাঙ্কলরি থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে ওই সব স্পটে বিক্রি করা হচ্ছে চোরাই তেল।
প্রতিদিন অন্তত শতাধিক তেলবাহি ট্যাঙ্কলরি থেকে তেল পাচারকারী চক্রের সদস্যরা নামমাত্র মুল্যে ক্রয় করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাহুবলের মিরপুর তিতারকোনা স্পটে সবচেয়ে বড় তেল পাচারকারী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। ওই স্পটে তেল পাচার চক্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফরিদ, রজব আলী, ফারুক ও কালামসহ কয়েক ব্যক্তি।
এর অনতিদূরে বশিনা বাসস্ট্যান্ডে অপর এক ব্যক্তি তেল পাচার করছে। লস্করপুর রেল গেইটে নাজমুল হকসহ তিন চার ব্যক্তি দোকান খুলে অবৈধভাবে প্রকাশ্যে তেলের বাজার গড়ে তুলেছেন।
হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা নাজমুলসহ তার তিন সহযোগিকে হাতেনাতে আটক করেছিলেন। এ ঘটনায় তারা মাসাধিকাল জেল হাজতের পর জামিনে এসে পুনরায় তেলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
একইভাবে শায়েস্তাগঞ্জ-শানখলা রাস্তার মোড়ে মহাসড়কের পাশে আছকির নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার সহযোগিতায় চোরাই তেলের ব্যবসা জমিয়ে তুলেছেন।
সুতাং পুরাসুন্দা রাস্তার মুখে হাবিব ও মাসুক নামের দুই ব্যক্তি ট্যাঙ্কলরি থেকে প্রকাশ্যে তেল নামিয়ে পাচার করছে।
এছাড়া অলিপুর, জগদীশপুর, আন্দিউড়া ও মাধবপুর সদরে আরও অন্তত ৬টি স্পটে ট্যাঙ্কলরি থেকে তেল নামানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জের তেল পাচারকারী আছকির জানান, তেল পাচারকারীরা স্থানীয় পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা এ ব্যবসা করছেন। তারা শুধু পুলিশই নয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও একাধিক সংস্থাকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিচ্ছেন বলে তিনি জানান। আবার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি সাংবাদিকদের নামেও টাকা তুলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মিরপুর তিতারকোনা স্পটের চোরাই তেল ব্যবসায়ী ফরিদ নিজেকে যুবলীগের একজন সক্রিয় নেতা দাবি করে বলেন, তারা বৈধভাবেই তেলের ব্যবসা করছেন। কিন্তু অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের কোন ছাড়পত্র আছে কিনা জানতে চাইলে ফরিদ জানান, এসব কিছু এখন আর লাগেনা। এমনিতেই পুলিশ ও সাংবাদিকদের মাসে নিয়মিত নজরানা দিয়ে তারা এ ব্যবসা নিরাপদ রেখেছেন।
উল্লেখিত স্পট ঘুরে দেখা গেছে, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড থেকে অপরিশোধিত তেল নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ডিপোতে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রকাশ্যে দিবালোকে ট্যাঙ্কলরি থেকে তেল নামানো হচ্ছে।
নির্বাচিত হলে জনগনের ভালবাসার ঋণ পরিশোধ করব – মেয়র প্রার্থী মিজান
বৃহস্পতিবার মিরপুর তিতারকোনা পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় (চট্ট মেট্রো-ঢ ৪১-০১৬৫) একটি তেলবাহী লরি থেকে তেল নামানো হয়। এ সময় ট্যাঙ্কলরির ছবি তুলতে গেলে তেল পাচারকারীরা বাধা দেয় এবং ধম্ভের সাথে তারা বলে সাংবাদিকরা লিখলে কিছু হবে না। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা তেলের ব্যবসা করছেন।