হবিগঞ্জে আলা হযরত কনফারেন্সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান ড. আল্লামা এ.এস. এম বোরহান উদ্দিন বলেছেন, আলা হযরত এমন একজন মনিষী যিনি ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য ছিলেন আশির্বাদ স্বরূপ। যার তীব্রধার লেখনীর মাধ্যমে এই উপ-মহাদেশের মুসলমানগণ বিট্রিশ শাসকদের অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির পথ খোঁজে পেয়েছিল। আলা হযরতের গ্রন্থাবলি অধ্যায়নের অনুরোধ জানিয়ে এই খ্যাতিমান প্রফেসর বলেন, ইংরেজদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে উপ-মহাদেশের মুসলমানগণ যখন সামাজিক অধঃপতনের দিকে এগিয়ে গেলে অর্থনৈতিক অবস্থার পতন ঘটতে শুরু হয়। তখন ইমাম আহমদ রেযা খাঁন (রহ.) তার তীব্রধার লেখনীর মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয় ও অর্থনৈতিক পতন রোধের পন্থা দেখিয়ে দেন উপমহাদেশের মুসলমানদের। তাই সামাজিক অধপতন ও অর্থনৈতিক পতন রোধে আলা হযরতের গ্রন্থাবলি চর্চার বিকল্প নেই।
গতকাল বিকাল ৪টায় হবিগঞ্জ পৌর টাউন হলে হিজরি চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দীদ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন রাহমাতুল্লাহি আলাইহির ১০১ তম পবিত্র ওরস মোবারক উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলা হযরত কনফারেন্সে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আ’লা হযরতের নিকট মুসলমানরা ঋণী উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় ৭৪টিরও অধিক বিষয়ে দেড়-শতাধিকেরও বেশি গ্রন্থ রচনা করে আ’লা হযরত দুনিয়ার মানুষকে ঋণী করে গেছেন। মুসলিম ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন (র.)’র জীবন দর্শনের ব্যাপক চর্চা ও গবেষণা বিশ্ববাসীর সংকট মুক্তির পাথেয়। তিনি ৬৭ বছরের জীবনে ১০ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৪৩ পৃষ্ঠা লিখে গেছেন, যা বিশ্বের এক অনন্য নজির। আ’লা হযরতকে এক বিস্ময়কর আসাধারণ প্রতিভা উল্লেখ্য করে মিশর আল-আযহার শরিফ সহ প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার শিক্ষা দর্শন ও জীবনকর্ম নিয়ে ৩৬টি পি এইচ ডি ডিগ্রী সম্পন্ন হয়েছে ও ২৭ জন গবেষক এম.ফিল ডিগ্রী সম্পন্ন করেছে। আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন (রহ.) ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ’র ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোহাম্মদ আবু জাহির এমপি। ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আব্দুল আলীমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত মাওলানা নাছির উদ্দীন ও ইমাম আহমদ রেযা সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মুফতি মুজিবুর রহমান আলক্বাদরীর যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা গোলাম মস্তোফা নবীনগরী, মুফতি আবু সাফওয়ান মুহাম্মদ আশরাফুল ওয়াদুদ, মুফতি বদরুর রেযা সেলিম, মুফতি আব্দুল আলী ক্বাদেরী, মাওলানা সোলাইমান খাঁন রাব্বানী, মাওলানা আজিজুল ইমলাম খাঁন, নবীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ, মাওলানা সাইফুল মোস্তফা, সেলিম, মুফতি ফজলুল হক, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুফতি মুজিবুর রহমান, মাও. খলিল হাসান রেযা, মাও. মোয়াজ্জেম হোসেন রজভী, মাও. সাইদুর রহমান, মাও. রোকন উদ্দিন আশরাফি, তৈয়বুর রহমান রাসেল আত্তারী, শামিম আহমদ, মুফতি আব্দুল হামিদ ক্বাদেরী, প্রভাষক আহসানুল হক, মাওলানা বেলায়েত উল্লাহ, মাওলানা মঈন উদ্দিন আশরাফি, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা এম,এ জলিল, হাফেজ শফিকুল ইসলাম আল-ক্বাদরী প্রমূখ।
৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১:৪৩