স্পিকার বর্তমানে বেশ পরিচিত একটি বস্তু কারণ যে কোন সাউন্ড বা অডিও গান শুনার জন্য আমরা স্পিকার ব্যবহার করে থাকি।
স্পিকার একটি আউটপুট ডিভাইস মূলত বাংলাদেশে যেদিন থেকে কম্পিউটার আমদানী করা শুরু হয় সে দিন থেকেই স্পিকারও আমদানী করা শুরু হয়।
শুরুতে স্পিকার শুধু মাত্র কম্পিউটারের একটি অংশ ভেবে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে নানান কাজে স্পিকার ব্যবহার করতে দেখা যায়। যেমন:- টিভির সাথে, ডিভিডির সাথে, অথবা জোরে গান শুনার জন্য অনেকে মোবাইলের সাথেও ব্যবহার করে থাকে।
১৮৭৬ সালে প্রথম আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিস্কার করার উদ্দেশ্যে স্পিকার তৈরী করেন। তারপর নানান ধাপে এর উন্নতি সাধন হয়।
১৯২৪ সালে আধুনিক কয়েল ভিত্তিক স্পীকার তৈরি করেন চেস্টার ডব্লিউ রাইচ এবং এডওয়ার্ড ডব্লিউ কেলল্যা। এরপর এর সাথে ফিল্টার যুক্ত হয়। এভাবে ধীরে ধীরে স্পিকার বর্তমান রূপ ধারন করে।
বর্তমান বাজারে বিভিন্ন প্রকারের স্পিকার পাওয়া যায় । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:-
- শুধু দুই পিসের স্পিকার
- ২:১ স্পিকার
- ৫:১ স্পিকার
- ইউএসবি স্পিকার
- রিচার্জেবেল স্পিকার
- ওয়্যারলেস স্পিকার
আরো পড়ুনঃ এক ক্লিকেই ফোনের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে হ্যাকারদের কবলে!
আমাদের দেশে অনেক ছোট বড় কম্পানি স্পিকার বাজারজাত করে থাকে । তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ক্রিয়েটিভ, মাইক্রোল্যাব, সিজেসি, লজিটেক, কামাসনিক, এফ এন্ড ডি, এলটেক ল্যনসিং, সিনটেক্স, গোল্ডেন ফিল্ড ইত্যাদি ।
এই স্পিকার গুলো গুণগত মান ও সাউন্ড কোয়ালিটির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ বিডিস্টল