১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৪:০৩

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ (বাংলার ম্যাগনাকার্টা/বাংলার মুক্তির সনদ)। 

★ তারিখ: ৭ই মার্চ ১৯৭১ সাল(রবিবার)।
★ শুরুর :বিকেল ৩টা ২০মিনিট।
★ স্থান : তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান, ঢাকা।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ভিডিও রেকর্ড ওকরেন,
” আবুল খায়ের” ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পাকিস্তান
ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম কর্পোরেশন। তিনি এ ভাষণটি
রেকর্ড করার জন্য ২০১৪ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা
দিবস পদক লাভ করেন।
★ ৭ মার্চের ভাষণের সাউন্ড রেকর্ডকারী-
এ এইচ খন্দকার।
★ ভাষণের স্থায়িত্ব : ১৯ মিনিট/১৮ মিনিট।
★মোট শব্দ : ১১০৮টি
★ ভাষণটি অনূদিত হয়েছে :১২ টি ভাষায়।
★ রেসকোর্সে উপস্থিত ছিল: প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
★ মাইকের নাম-“কল রেডি”।
★ ভাষণে উপস্থাপন করা হয় : ৪ দফা দাবি।
★ দাবি ৪ টি হলো:
১. সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
২. সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে।
৩. এই গণহত্যার তদন্ত করতে হবে।
৪. নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নিকট ক্ষমতা
হস্তান্তর করতে হবে
★ মূল বক্তব্য: “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার
সংগ্রাম”।
★উল্লেখযোগ্য অংশ : “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও
দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো
ইনশাল্লাহ”।
★এই সময় ৩ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলন
চলছিলো।
★ ভাষণের প্রেক্ষাপট :১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী এই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব করতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ১লা মার্চ এই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন। এই সংবাদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল পালিত হয়। তিনি ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই পটভূমিতেই ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক একত্রিত হয়; পুরো ময়দান পরিণত হয় এক জনসমুদ্রে। এই জনতা এবং সার্বিকভাবে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদান করেন।
★ ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর UNESCO এই ভাষণকে
Memory of the World Register এর অন্তর্ভুক্ত
করে।
– ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক পরামর্শক কমিটি (IAC)
১৩০টি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল, নথি ও
বক্তৃতার মধ্যে ৭৮টি বিষয়কে নির্বাচিত করে, এর
মধ্যে ৭ মার্চ ভাষণের অবস্থান ৪৮তম
– ফ্রান্সের প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী
প্রতিনিধি মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ
জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বাংলাদেশের পক্ষ
থেকে ৭ মার্চ ভাষণের স্বীকৃতির জন্য ১২ পৃষ্ঠার
একটি আবেদন পত্র প্রেরণ করেন।
– স্বীকৃতির স্বপক্ষে ১০টি প্রয়োজনীয় তথ্য, নথি ও
প্রমাণপত্র জমা দেয়া হয়।
★ প্যারিসে ইউনেস্কো কার্যালয়ে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা
দেন মহাপরিচালক ইরিনা বেকোভা।
★ ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জ্যাকব এফ ফিল্ডের ভাষণ
সংকলন “The Speech the Inspired History”
এ বিশ্বের সেরা ৪১টি ভাষণের মধ্য স্থান পেয়েছে ৭ই
মার্চের ভাষণ।
★ জ্যাকবের বইয়ে ভাষণটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে
The Struggle : This Time is the Struggle for
Independence.
★বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ বক্তৃতার সাথে
তুলনা করা হয়
★”শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ কেবল
একটি ভাষণ নয়,এটি একটি অনন্য রণকৌশলের
দলিল” উক্তিটি করেছেন –কিউবার অবিসংবাদিত
নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো।
★ “৭ মার্চের ভাষণ আসলে ছিল স্বাধীনতার মূল
দলিল” উক্তিটি করেছেন–বর্ণবাদবিরোধী নেতা
নেলসন ম্যান্ডেলা।
★১৩ নভেম্বর ২০১৭-তে ঐতিহাসিক এ ভাষণের উপর
একটি বিশ্লেষণধর্মী বই “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ:
রাজনীতির মহাকাব্য” শিরোনামে আইসিটি
মন্ত্রণালয় থেকে ই-বুক ও মোবাইল অ্যাপ হিসেবে
উদ্বোধন করা হয়।