৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ভোর ৫:০২

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুরে কান্দাল জাতীয় ফসল কাসাবা চাষে সবুজ বিপ্লব

লিটন পাঠানঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় কান্দাল জাতীয় ফসল কাসাবা চাষাবাদে নতুন সবুজ বিপ্লবের শুরু হয়েছে। যে সব জমি বছরের পর বছর পতিত থাকত এখন এসব জমি কাসাবা চাষাবাদের আওতায় এসেছে।

হবিগঞ্জে বিভিন্ন কৃষিজাত শিল্প কারখানায় কাসাবা (শিমুলী আলু) জাতীয় ফসলের কাঁচামালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় শিল্প কারখানার মালিকরা কাসাবা চাষে কৃষকদের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা এবং সময়মতো ভাল দামে কাসাবা কিনে নিচ্ছে। এ কারণে মাধবপুরের ৫টি ইউনিয়নে এখন ব্যাপক হারে কৃষকরা কাসাবা চাষাবাদ করছেন ।

মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের কাসাবা চাষী জমশেদ খান বলেন, “হবিগঞ্জের অলিপুরে প্রাণ কোম্পানিতে উৎপাদিক কৃষি খাদ্যে কাসাবা ব্যবহার করা হয়। একারণে তাদের উৎসাহ প্রেরণায় প্রথমে আমি কিছু জায়গায় কাসাবা চাষাবাদ করি। ফলন ভাল ও উৎপাদন খরচ কম এবং ভাল দামে বিক্রি করে আমি লাভবান হই। এরপর থেকে আমার কাসাবা চাষাবাদ অনুসরণ করে এলাকার শতশত কৃষক এখন কাসাবা চাষাবাদ করছেন।”

কৃষক জুলহাস উদ্দিন বিগত দিনে কৃষকরা বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করে খরা ও। অতিবৃষ্টির কারণে কৃষকরা যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। তখন স্থানীয় বিভিন্ন কাসাবা সরবরাহকারী কৃষিজাত পণ্য শিল্প কারখানা লোকজন কৃষকদের কাসাবা চাষাবাদ করতে উৎসাহ যোগায়।

কাসাবা চাষাবাদে পোকামাকড়ের কোন আক্রমন নেই । এ কারণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। ফাল্গুন চৈএ মাসে শিখর জমিতে রোপন করতে হয়। ঠিক আলু চাষের মত অন্যান্য পরিচর্যা করতে হয়।

এখন মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর, জগদীশপুর, নোয়াপাড়া, বহরা ও চৌমুহনী ইউনিয়নের শত শত কৃষক কাসাবা চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। কাসাবা চাষাবাদের সঙ্গে অনেক মানুষ জড়িত হওয়ার কারণে অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, “কাসাবা আদি চাষাবাদ ব্রাজিলে। স্থানীয়ভাবে এটাকে কাসাবার পাশাপাশি শিমুলী আলু বলে থাকে। কাসাবা দেখতে ঠিক মিষ্টি আলুর মত। কাসাবা খুব ঠান্ডা জাতীয় ফসল। সবজি হিসেবে ও রান্না করে খাওয়া যায়।”

মিষ্টার সাইফুল আরো বলেন, “বাংলাদেশে কাসাবার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন শিল্প কারখানার ঔষধ, খাদ্য সামগ্রীতে কাঁচামাল হিসেবে কাসাবা ব্যবহৃত হয়। প্রক্রিয়াজাত করে কাসাবা থেকে তরল গ্লুকোজ এবং ময়দা জাতীয় উপকরণ তৈরি করা হয়। মাধবপুরে এখন প্রায় ৫শ একর জায়গায় কাসাবা চাষাবাদ হচ্ছে। যেগুলো বিভিন্ন কৃষিজাত শিল্প কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে প্রচুর আর্থিক মৃল্য ও চাহিদা রয়েছে। কাসাবা চাষাবাদে কৃষকদের সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।”