১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ১:৪৯

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মুসলমানদেরকে মসজিদ থেকে বের করতে ইসলাম বিরোধীরা উঠেপড়ে লেগেছে: আল্লামা বাবুনগরী

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, মসজিদ মহান আল্লাহ তায়া’লার ঘর। আল্লাহ তায়া’লার রহমত,বরকতের পবিত্রময় স্থান। পৃথিবীর সর্বোত্তম শান্তি ও নিরাপত্তার জায়গা। মুসলমান মসজিদে গেলে প্রশান্তি লাভ করে।

হযরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন আযাব-গযব দেখলে সাথে সাথে মসজিদে যেতেন। আর আজ এই করোনা ভাইরাসের নাজুক মুহূর্তে মসজিদে যেতে বারন করা হচ্ছে।

গভীরভাবে চিন্তা করলে বুঝা যায়, মুসলমানদেরকে মসজিদ থেকে বের করতে আজ ইসলাম বিরোধীরা উঠেপড়ে লেগেছে।

দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে,সর্বোচ্চ বরকতময় স্থান পবিত্র হারাম শরীফের তাওয়াফ,নামায এবং রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মসজিদে নববীতেও নামায পড়া বন্ধ করা হয়েছে।

অথচ মক্কা শরীফকে পবিত্র কুরআন শরীফে”বালাদান আমিনা বা নিরাপদ শহর বলা হয়েছে। সহীহ হাদীস শরীফে আছে,রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দাজ্জাল এবং মহামারী মদিনা মুনাওয়ারায় ঢুকতে পারবে না।

মুসলমান মাত্রই বিশ্বনবী (সা.) এর চিরন্তন সত্য এ হাদীসের উপর ঈমান এবং আকিদা-বিশ্বাস রাখতে হবে। কিন্তু সৌদি হুকুমতের আজ কুরআনের এ আয়াত ও হাদীসের উপর বিশ্বাস কোথায়! অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে,এ করোনা ভাইরাসের কারণে মক্কা-মদিনার দোহাই দিয়ে অন্যান্য দেশগুলোতেও আজ মসজিদ বন্ধ করা হচ্ছে। যা কখনো কুরআন-হাদীসের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়।

আজ ২৪ মার্চ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন,সর্বপ্রথম
চিনের উহান শহরে যখন এ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং মহামারীর আকার ধারণ করে তখন চিনের
অমুসলিমরা মসজিদে মসজিদে গিয়ে দুআ চেয়েছে। মুসলমানদের সাথে দুআয় শরীক হয়ে এ মহামারী থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহ তায়া’লার নিকট দুআ করেছে।

যা মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হয়েছে।পুরো বিশ্ব দেখেছে। অমুসলিমদেরকে মসজিদে দেখে ইহুদী খ্রিস্টান ও ইসলাম বিরোধী অপশক্তিদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।

তারা ভাবছে যে,এভাবে অমুসলিমরা মসজিদে গেলে,মুসলমাদের কাছে গেলে,মুসলমানদের সাথে দুআয় শরীক হলে তারাও মুসলমান হয়ে যাবে। এবং এ করোনা ভাইরাস ইস্যুতে হাজার হাজার অমুসলিম কালিমা পড়ে একমাত্র শান্তির ধর্ম ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করবে।

তাই করোনা ভাইরাসের আতংক ছড়িয়ে পুরো বিশ্বে মসজিদ বন্ধ করা এবং মুসলমানদেরকে মসজিদ থেকে বের করার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। মিডিয়ার অতি প্রচারের দূর্বল ঈমানদাররাও এ ভাইরাস থেকে আজ মসজিদ যেতে ভয় পাচ্ছে।

আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন,এই নাজুক পরিস্থিতিতে মসজিদ বন্ধের আদৌ কোন যৌক্তিকতা নেই। সর্বোচ্চ এতটুকু করা যেতে পারে যে,বাস্তবেই কেহ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সে মসজিদে না যেতে পারে । তবে ব্যপকভাবে সবাইকে মসজিদে যেতে বারণ করার কোন মানে হয় না।

করোনা ভাইরাসের এই মহামারী থেকে বাঁচতে মসজিদ বন্ধ করা নয় বরং মসজিদে মসজিদে দুআ কান্নাকাটির ব্যবস্থা করে মহান প্রভূর দরবারে কায়মনোবাক্যে দুআ করতে হবে।

এ করোনা ভাইরাস আল্লাহ তায়া’লার অবাধ্যতা আর নাফরমানী থেকে ফিরে আসার জন্য সতর্কতামূলক একটি আযাব হতে পারে । অথচ আজ ওবায়দুল কাদের সহ কোন কোন এমপি মন্ত্রী এ ভাইরাস থেকে নিজেদেরকে শক্তিশালী বলে দাবী করছে। মোকাবিলায় কথা বলছে।

আল্লাহ তায়া’লার আযাব গযবের কোন মোকাবিলা করা যায় না। বরং আল্লাহ তায়া’লার দিকে ফিরতে হয় এবং পানাহ চাইতে হয় । করোনা ভাইরাস থেকে আমরা শক্তিশালী এসব কথা বলা প্রকাশ্য বেঈমানী।

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আল্লাহ তায়া’লার আযাব নিয়ে এমন স্পর্ধা পূর্ণ কথা যারা বলেছে মহান প্রভুর দরবারে তাদের খাটি দিলে তাওবা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।