হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় বউয়ের অনুমতি ছাড়া ২য় বিয়ে করার খেসারত দিতে হলো এক প্রবাসিকে।
নিজের বিশেষ অঙ্গ হারিয়ে ওই প্রবাসি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। স্বামীর অঙ্গ ব্যাগে ভরে বড় বউ নিরুদ্দেশ।
সর্ব মহলে আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ২টার সময় উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাহাড়ী গ্রাম আলীনগরে। আহত স্বামী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এলাকাবাসিরা জানান, আলীনগর গ্রামের ইছাক মিয়া (৩৫) একই গ্রামের ছিদ্দিক আলীর কন্যা দিলারা খাতুনকে বিয়ে করেন ৮/১০ বছর আগে। এরা বর্তমানে দুই সন্তানের জনক-জননী। ১৫ বছর ধরে ইছাক সৌদি আরব আছেন।
বিগত ৩ বছর আগে তিনি দেশে এসে একই ইউনিয়নের উসমানপুর গ্রামের এক যুবতীকে বিয়ে করেন কিন্তু সেই বিয়ে মেনে নিতে পারছিলেন না বড় বউ দিলারা। ২য় বিয়ে করার কারণে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকতো।
লকডাইনের ২০ দিন পুর্বে প্রবাসি ইউসুফ বাড়িতে আসেন। বাড়ি আসার পর স্ত্রী দিলারার অমতে তিনি ছোট বউর বাড়িতে যাতায়াত অব্যাহত রাখেন। রবিবার রাতে খাবার দাবার শেষে বড় বউর স্বামীকে আদর করে পিঠা খেতে দেন। পিঠা খেয়ে তিনি অচেতন অবস্থায় বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় ২ টায়, সময় এবং সুযোগে দিলারা স্বামীর লিঙ্গ কেটে নেন।
ইছাকের শোর চিৎকারে এলাকাবাসি ঘটনাস্থলে এসে আহত ইছাককে হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এলাকাবাসীরা জানান, সিলেট ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসক বলেছেন, ১২ ঘন্টার মধে কাটা অঙ্গ সংযোজন না করলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পলাতক বড় বউ’র ব্যাগে থাকা সেই অঙ্গ নিয়ে আত্মীয়রা সিলেটের পথে যাত্রা করেছেন।